আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমস্যা তৈরি করতে পারে আবহাওয়া। পুজোয় উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের জন্য যারা তৈরি হচ্ছেন তাঁদের আনন্দে বাদ সাধতে পারে বৃষ্টি। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় ইতিমধ্যেই সেচ দপ্তরের উত্তর-পূর্ব বিভাগ থেকে জারি হয়েছে সতর্কতা। ২৪ ঘন্টা উত্তরবঙ্গের নদীগুলির ওপর নজরদারির চালানোর সঙ্গে ঘন্টায় ঘন্টায় সেই রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। দপ্তরের কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হচ্ছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এবিষয়ে সেচ দপ্তরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, 'পুজোর সময় ফিল্ড স্টাফ, জুনিয়র এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিদের বাড়তি সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।'
উত্তরবঙ্গে বন্যার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায় পাহাড়ি নদীগুলির জলস্ফীতি। ফলে নদীর পরিস্থিতির সঙ্গে পাহাড়ের আবহাওয়া ও বৃষ্টির খবর জানতে উত্তর-পূর্ব বিভাগের সেচ দপ্তরের কন্ট্রোল রুম নিয়মিতভাবে ভুটান এবং সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই পাহাড় ও সমতলে একটানা বৃষ্টির জেরে সমতলের নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তার দোমহনী থেকে মেখলিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় সেচ দপ্তরের তরফে লাল সঙ্কেত জারি করা হয়।
করলা-সহ সমতলে সমস্ত নদীর জলবৃদ্ধির জন্য শহরের নিচু এলাকাগুলিতেও জল জমা শুরু হয়েছে। এরইসঙ্গে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে স্পিড বোট এবং ছোট নৌকা। হাতের কাছে মজুত রাখা হচ্ছে শুকনো খাবার। হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে রাখা হচ্ছে জ্বর, পেটখারাপ ও অন্যান্য রোগের ওষুধ।
