আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের সংখ্যা। সেদিকে নজর রেখে এবার স্কুল ছাত্রছাত্রীদেরকে 'সাইবার ক্রাইম'এর পাঠ দেওয়ার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার তরফ থেকে। 

 

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, 'পুলিশ জেলার অন্তর্গত ১১০টি স্কুল এবং কলেজে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত 'সাইবার ক্রাইম'-এর দুটি দল আগামী বেশ কিছুদিন নিয়মিত যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদেরকে তারা 'সাইবার ক্রাইম' কী এবং কীভাবে তারা এর থেকে বাঁচবে সেই বিষয়ে জানাবে। ছাত্রছাত্রীরা গোটা বিষয়টি জেনে গেলে এরপর তারা পরিবারের সদস্যদের 'সাইবার ক্রাইম'এর পাঠদান করতে পারবে।' 

 

পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন -সমাজমাধ্যমে অচেনা ব্যক্তির সাথে পরিচয় হওয়ার পর অনেক ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন অপরাধের শিকার হয়েছেন। তাই ফেসবুক,এক্স (সাবেক টুইটার) সহ অন্যান্য সমাজমাধ্যমে অচেনা ব্যক্তির সাথে পরিচয় হলে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয় সেই বিষয়ে তাদেরকে সচেতন করা শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাঙ্কে 'অনলাইন ট্রানজাকশন' এবং অন্যান্য 'ফ্রড' কীভাবে হয় তাও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানানো হচ্ছে। 

 

পুলিশের ওই আধিকারিক বলেন- বর্তমানে কয়েকটি জনপ্রিয় সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা ছাত্রছাত্রীদেরকে জানাচ্ছি কীভাবে 'ফ্যাক্ট চেক' করা হয়। এর পাশাপাশি কোনও অচেনা নম্বর থেকে কেউ অস্বাভাবিক 'লিঙ্ক' পাঠালে তাও খুলতে বারণ করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে। 

 

সমাজমাধ্যমে কোনও জিনিস চোখে পড়লে দ্রুত অভিভাবক অথবা পুলিশকে জানাবেন সেই বিষয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতার পাঠ দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি স্কুলে দেড় থেকে দু ঘণ্টার এই বিশেষ কর্মশালাতে পুলিশ জেলার মহিলা অফিসাররাও উপস্থিত থাকছেন। সেখানে ছাত্রীদেরকে মহিলা সুরক্ষা এবং বড় হয়ে তাঁরা কীভাবে সাবলম্বী হতে পারবেন সেই বিষয়েও পাঠ দান করা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে কোন জিনিসগুলো এড়িয়ে চলা উচিত ছাত্র-ছাত্রীদের সেগুলো বোঝানো হচ্ছে। 

 

পুলিশ সুপার বলেন, 'আজ যারা ছাত্রছাত্রী তারাই আগামী দিনে বড় হয়ে সমাজ গঠন করবে। তাই এখন থেকেই তাদের 'সাইবার ক্রাইম', সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব এবং এর থেকে কীভাবে বাঁচতে হবে সেই বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকা উচিত। তাই পুলিশের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'