অরিন্দম মুখার্জি: গত ৩০ জুলাই বলরামপুর ঘাটা বুড়া গ্রাম থেকে একটা চন্দন গাছ কেটে নিয়ে যায়। আবার ১৩ আগস্ট বলরামপুরের নিত্যানন্দ যোগাশ্রম আশ্রম থেকে তিনটে চন্দন কাঠ কেটে নিয়ে যায় আর তার সাথে একটি চন্দন গাছকে অর্ধেক কেটে রেখে চলে যায়। ঠিক তার দুদিন পরে আবার দুটি চন্দন গাছ কেটে নিয়ে যায়। কিন্তু কে বা কারা এই গাছটা কেটে নিয়ে যায় তা এখনও সঠিকভাবে কিনারা করা যায়নি। কিন্তু এরই মধ্যে বলরামপুরের বিরানডি গ্রামের সন্তোষ কুমার সিং এর বাগান থেকে আবার চন্দন গাছ কেটে নিয়ে যায়।
দুটি পৃথক ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি পৃথক অভিযোগ বলরামপুর থানায় জমা পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শনিবার রাতে তদন্ত শুরু করে জানতে পারে রুদ্রাক্ষ বিক্রি করার নামে গ্রামে গ্রামে কিছু লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে। রুদ্রাক্ষ বিক্রি করার সন্ধান করতে করতে পুলিশ তল্লাশি করে জানতে পারে এই দলটি মধ্যপ্রদেশের কার্তি জেলা থেকে পুরুলিয়ার বলরামপুরে এসে রুদ্রাক্ষ বিক্রির নাম করে চন্দন গাছের খোঁজ চালায়।
বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুসারে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে মধ্যপ্রদেশের এই দলটা তারা গ্রামে গ্রামে রুদ্রাক্ষ বিক্রি করতো এবং কোথায় কোথায় চন্দন গাছ আছে তার খবর নিত এবং সেই কাজগুলো রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যেত।
পুরুলিয়ার বলরামপুর থানা বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে জানতে পারে সাপুর গ্রামে গ্যাস গোডাউন এর কাছে দুজন মহিলাকে আটক করে তাদের কাছ থেকে এক বস্তা চন্দন কাঠ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ। ভুট্টো বাড়ি এবং কাঞ্চন পারোধী নামে দুই মহিলাকে বলরামপুর থানা আটক করে এবং তারা কোর্টে চালান করে। ওই দুই মহিলাকে পুলিশ পাঁচ দিনের হেফাজতে নেয়। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অবস্থাতে তাদের জেরা করে জানতে পারে আরো দুই বস্তা চন্দন কাঠ বরাভূম রেলওয়ে স্টেশনের কাছে আছে এবং পুলিশ সেখান থেকে এক বস্তা চন্দন কাঠ উদ্ধার করে। এবং ঘাটা বুড়া গ্রামে চন্দন গাছ চুরির ব্যাপারে বলরামপুর থানা আরও দুজনকে আটক করে এবং তাদের পুরুলিয়া কোর্টে তোলা হয়।
