আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর পরাজয়ের পর এমনিই বড়সড় ধাক্কা খেতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। শুক্রবার বাম-কংগ্রেস জোট পরিচালিত রাণীনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস নির্বাচিত সভাপতি কুদ্দুস আলি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় আরও বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। কুদ্দুসের সঙ্গে ওই ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েতের একজন প্রধান সহ বাম এবং কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত ১৩ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।
ফলে, রাণীনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার রাণীনগরে একটি অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রাণীনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন, মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান সহ তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতারা। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৭ আসন বিশিষ্ট রাণনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৩টি আসনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থীরা।
অন্যদিকে, কংগ্রেস জয়ী হয় ন'টি আসন থেকে এবং বাম প্রার্থীরা জেতেন পাঁচটি আসন থেকে। এরপর জোটের তরফে কংগ্রেসের কুদ্দুস আলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। সম্প্রতি বাম কংগ্রেস জোট থেকে পাঁচ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির যোগদানে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১৯।
কুদ্দুস আলি জানান, 'আমরা আগে তৃণমূলই করতাম। কোনও কারণে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম। যাদের জন্য তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম এখন আর তাঁরা তৃণমূলে নেই। তাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মানুষের মতামত নিয়ে আমি তৃণমূলে যোগদান করেছি। মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশ মত এবং সৌমিক হোসেনের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি এলাকার উন্নয়ন করার চেষ্টা করব।'
এই ঘটনায় জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের বক্তব্য, 'তৃণমূলে যোগ দিলে আর্থিক এবং অন্যান্য নিরাপত্তা পাওয়া সম্ভব। সেই লোভেই কুদ্দুস দলত্যাগ করেছেন ।কংগ্রেসের প্রতীকে জিতলেও দীর্ঘদিন ধরে মাছরাঙার মত বসেছিলেন কবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারবেন। তবে তাঁর এই যোগদানে মুশিদাবাদ জেলাতে কংগ্রেস দল দুর্বল হবে না।'
