আজকাল ওয়েবডেস্ক: এরাই যেন দেবী দুর্গা। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় ডিঙি নৌকা বা ডোঙা চালিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন জলে প্রায় ডুবে যাওয়া এক একটি পরিবারের কাছে। খবর নিচ্ছেন তাঁদের স্বাস্থ্যের। দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ। আবার সেই রিপোর্ট পৌঁছে দিচ্ছেন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা এই কর্মীরা পরিচিত 'আশা কর্মী' নামে। স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে কাজ করেন এঁরা।
মালদার বন্যা কবলিত এলাগুলিতে গেলে দেখা যাবে কীরকম বিপদের ঝুঁকি নিয়ে এই আশা কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন! অথচ বেতন যে বিরাট কিছু সেটাও কিন্তু নয়। মাসিক একটা বেতন ছাড়া ফিল্ড ওয়ার্ক করার জন্য একটা আলাদা ভাতার ব্যবস্থা করা আছে। এর ওপরেই নির্ভর করে থাকেন এঁরা। বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই জলবাহিত রোগ থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে বা বন্যা কবলিত এলাকায় গর্ভবতী মায়েরা কেমন আছেন বা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় যা যা পরামর্শ তাঁরা সারাবছরই দিয়ে থাকেন তার সবকিছুই এঁরা পৌঁছে দিয়ে আসছেন জল ঠেঙিয়ে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কখনও নিজেরাই ডোঙা বা ডিঙি নৌকা চালিয়ে আবার কখনও ভেঙে যাওয়া রাস্তায় বালির বস্তার ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন এঁরা। মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের এই আশা কর্মীদের কুর্ণিশ জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। পরিস্থিতি ব্যাখ্যায় আশাকর্মী সুমিত্রা রাণী মণ্ডল বলেন, 'এবারের জল খুব বেশি। খুবই কষ্ট করে এলাকায় এলাকায় পৌঁছতে হচ্ছে। অনেক সময় নৌকা না পেলে ডোঙা চালিয়েও পৌঁছতে হচ্ছে।'
