পুরুষদের যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং প্রজনন ক্ষমতা শুধুমাত্র শারীরিক বিষয় নয়, মানসিক স্বাস্থ্য, জীবনধারা এবং পরিবেশগত নানা প্রভাবও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, ছয়টি সাধারণ বিষয় পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
১. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অতিরিক্ত ওজনঃ অতিরিক্ত চিনি, ভাজাভাজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীরে টেস্টোস্টেরন কমে গিয়ে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায়। পাশাপাশি শুক্রাণুর মানও খারাপ হতে থাকে।
২. অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শঃ টাইট পোশাক পরা, ল্যাপটপ হাঁটুর উপর দীর্ঘ সময় রাখলে, অতিরিক্ত জল জলে স্নান করলে প্রজনন অঙ্গের আশপাশে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে শুক্রাণুর উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং গুণগত মান নষ্ট হয়।
আরও পড়ুনঃ ওজন কমাতে সারাদিন শুধু ফল খেয়ে থাকেন? শরীরের উপর কোন মারাত্মক প্রভাব পড়ছে জানলে আতঁকে উঠবেন
৩. ধূমপান, মদ্যপানঃ ধূমপান শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমিয়ে দেয় এবং ডিএনএ-তে ক্ষতি করে। অতিরিক্ত মদ্যপান লিভার ও হরমোনের ক্ষতি করে, যৌন ক্ষমতা দুর্বল করে। মাদকাসক্তি দীর্ঘমেয়াদে পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে।
৪. মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাবঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপ কর্টিসল হরমোন বাড়ায় যা টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমায়। ঘুম কম হলে শরীর দুর্বল হয়, মেজাজ খারাপ হয় এবং যৌন ইচ্ছা কমে যায়। উদ্বেগ ও বিষণ্নতা এক্ষেত্রে আরও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৫. ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শঃ প্লাস্টিক, কীটনাশক ও শিল্পজাত কিছু রাসায়নিক শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এতে শুক্রাণুর গুণগত মান খারাপ হয়, গতি ও আকৃতি বদলে যায় এবং ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৬. দীর্ঘমেয়াদি রোগ ও হরমোনের সমস্যাঃ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড বা হৃদরোগের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতায় সরাসরি প্রভাব ফেলে। এসব রোগ রক্তনালী ও স্নায়ুর ক্ষতি করে, হরমোন উৎপাদন ব্যাহত করে এবং যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
