যদি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমানো আপনার জন্য কঠিন হয়, তবে পোস্ট অফিসের একটি বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্প আপনার জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে। এই প্রকল্পে আপনি একটি পিগি ব্যাঙ্কের মতোই প্রতিদিন অল্প অল্প করে টাকা জমা করতে পারেন। পার্থক্য শুধু এটুকুই যে, এখানে আপনার সঞ্চয় সুরক্ষিত থাকে এবং আপনি এর উপর সুদও পান।
2
6
অনেক সময় মানুষ প্রতিদিন তাদের বেঁচে যাওয়া টাকা পিগি ব্যাঙ্কে রাখে। এতে কিছু টাকা জমা হয় ঠিকই, কিন্তু কোনও অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট (আরডি) প্রকল্পে নিয়মিত বিনিয়োগ করে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই একটি বড় তহবিল তৈরি করা সম্ভব।
3
6
বিনিয়োগ ছাড়া বড় সঞ্চয় সম্ভব নয়: অনেকেই মনে করেন যে, ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে বা বাড়িতে জমালে ধীরে ধীরে একটি বড় অঙ্কের টাকা জমে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হল, বিনিয়োগ ছাড়া একটি শক্তিশালী তহবিল তৈরি করা সহজ নয়। এই কারণেই অনেকে বছরের পর বছর কাজ করার পরেও বেশি সঞ্চয় করতে পারেন না এবং পরে আফসোস করেন। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে চাইলে, পোস্ট অফিসের আরডি-র মাধ্যমে অল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
4
6
কীভাবে বিনিয়োগ শুরু করবেন? ধরুন, আপনি প্রতিদিন ১০০ টাকা করে সরিয়ে রাখছেন এবং তা একটি আরডি সঞ্চয় প্রকল্পেে জমা করছেন। এভাবে আপনি মাসে প্রায় ৩০০০ টাকা বিনিয়োগ করবেন। এক বছরে এই পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৬,০০০ টাকায়। যদি আপনি এই বিনিয়োগ পাঁচ বছর ধরে চালিয়ে যান, তবে মোট জমার পরিমাণ হবে ১,৮০,০০০ টাকা।
5
6
সুদ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা: বর্তমানে পোস্ট অফিসের আরডি প্রকল্পে ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুযায়ী, পাঁচ বছর পর আপনার জমার পরিমাণ বেড়ে প্রায় ২,১৪,০৯৭ টাকা হতে পারে। ভবিষ্যতে যদি আপনি আরও বেশি রিটার্ন চান, তবে আপনি আপনার মাসিক বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে আরও বড় তহবিল গড়তে পারেন।
6
6
আরডি প্রকল্পে এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়: পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনি আপনার আরডি অ্যাকাউন্ট আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়াতে পারেন। সবচেয়ে ভাল দিকটি হল, অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে সুদের হার প্রযোজ্য ছিল, তা পুরো সময়জুড়েই অপরিবর্তিত থাকে। ভবিষ্যতে সুদের হার কমে গেলেও, আপনি পুরোনো হারেই সুবিধা পেতে থাকবেন।