আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের পাশে এবার নিউজিল্যান্ড। ইতিমধ্যেই সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা হয়েছে। এরপরই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। দুই দেশ আগামীদিনে মুক্ত বাণিজ্যের দিকে এগিয়ে যাবে। এরফলে ভারতের বাজার যেমন অনেক বেশি মুক্ত হবে, ঠিক তেমনই বাড়বে চাকরির বাজার।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে বাকি কথা চলছে। আগামী ১৫ বছর ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে এই চুক্তি থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। ফলে সেখান থেকে চাকরির একটি বিরাট বাজার খুলে যাবে বলেই মনে করছেন সকলে।
চুক্তির আওতায়, কার্যকর হওয়ার দিন থেকেই নিউজিল্যান্ড ভারতের ১০০ শতাংশ রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেবে। এর ফলে প্রায় ৪৫০টি ট্যারিফ লাইনে আরোপিত সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া হবে। এই তালিকায় রয়েছে বস্ত্র ও পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, কার্পেট, সিরামিক সামগ্রী, গাড়ি ও অটো কম্পোনেন্টসসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাত।
এই বাণিজ্য চুক্তির ফলে ভারতের শ্রমনির্ভর শিল্পক্ষেত্রে বড়সড় গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বস্ত্র, তৈরি পোশাক, চামড়া ও ফুটওয়্যার, রত্ন ও গয়না শিল্প উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হবে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস, প্লাস্টিক, রাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের রপ্তানিও বাড়বে।
চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ও মেডিক্যাল ডিভাইস রপ্তানিকারকদের জন্য নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া আরও সহজ করা। বিশ্বস্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস এবং গুড ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস সংক্রান্ত পরিদর্শন রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে। এর ফলে অতিরিক্ত পরিদর্শনের প্রয়োজন কমবে, কমপ্লায়েন্স খরচ হ্রাস পাবে এবং পণ্য অনুমোদনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে।
সব মিলিয়ে, এই চুক্তি ভারত-নিউজিল্যান্ড বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং ভারতের রপ্তানিকারকদের জন্য বৃহৎ সুযোগের দরজা খুলে দেবে। ফলে এখান থেকে দেশের উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কাছে বিরাট সুযোগ আসবে।
&t=2128s
মার্কিন দেশ ভারতের ওপর বিরাট শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে। সেখান থেকে ভারত এবার অন্য দেশের সঙ্গে মিলে কাজ করার চেষ্টা করছে। এই কাজে বিশ্বের বাকি দেশগুলি ভারতকে সহায়তা করছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল নিউজিল্যান্ড। ভারত তার সুচতুর পরিকল্পনা খাটিয়ে মার্কিন প্রশাসনের হাত ছেড়ে বিকল্প পথের দিকে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে।
