থেকে থেকেই নাক খোঁটেন? সর্দি হোক বা না হোক, জেনে বুঝে হোক, বা অজান্তেই হাত নাকে চলে যায় আপনাআপনি? তাহলে কিন্তু এই লক্ষণ আপনাকে হতে পারে আগামীর কোনও বড় ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২০২২ সালের একটি গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে নাক খোঁটা এবং ডিমেনশিয়ার মধ্যে যোগসূত্র থাকলেও থাকতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন ক্লামাইডিয়া নিউমোনিয়া নামক একটি ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন, এই ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে আক্রমণ চালাতে পারে এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত করতে পারে। প্রথমে এই গবেষণা ইঁদুরের উপর করা হয়। কিন্তু সঠিক কনক্লুশন টানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন ছিল, নাক খোঁটা এবং ডিমেনশিয়ার মধ্যে আদৌ কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা প্রমাণ করতে।
কিন্তু, তাও আপাত ভাবে এই গবেষণায় কী বোঝ গিয়েছে? নাক খুঁটলে যে কেবল নাকের ভিতরের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেটা নয়, এমনকী এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা পরিষ্কার নাকের মাধ্যমে সহজে মস্তিষ্কে পৌঁছে যেতে পারে। এবং সেই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির লক্ষণের সঙ্গে অনেকটাই ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমার্স রোগের উপসর্গের মিল রয়েছে।
ফলে নাক না খুঁটে কীভাবে নাক পরিষ্কার করবেন ভাবছেন? জেনে নিন তেমনই পাঁচটি উপায়।
প্রথমত, এক চামচ ননআয়োডাইজড নুন দুই কাপ সমান ফোটানো জলে গুলে একটা নাকের ফুটোয় ঢেলে দিন অল্প করে। তারপর অন্য নাকের ফুটোর মাধ্যমে সেই জল বের করে দিন। এবার এক কাজ উল্টো দিকের নাকের ফুটোর মাধ্যমে করুন। এটা নিয়মিত এক দুইবার করলে নাক পরিষ্কার থাকবে, আবার নাক খুঁটতেও হবে না।
আজকাল ওষুধের দোকানে স্যালাইন নেসাল স্প্রে পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। শিশু বা সামান্য সর্দির ক্ষেত্রে এটা উপকারী।
ভাপ নিতে পারেন। এতে ভিতরে জমে থাকা সর্দি বেরিয়ে আসে। নাকও পরিষ্কার হয়।
এক নাকের ফুটো চেপে আরেকটা দিয়ে জোরে শ্বাস ছাড়ুন, এবং তারপর উল্টো নাকের ফুটো দিয়েও এক কাজ করুন।
আজকাল দূষণ এত বেড়েছে, তার সঙ্গে জীবাণু, শুকনো বাতাস, সর্দি, ইত্যাদি তো আছেই। সব মিলিয়ে অনেক সময়ই নাক সুড়সুড় করতেই পারে। তখন নাক না খুঁটে এভাবে সমাধান করুন সমস্যার।
