বছরের শেষপ্রান্তে এসে সোনা, রুপোর দামে দেখা দিল নজিরবিহীন লাফ। বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা, মার্কিন ডলারের দুর্বলতা এবং বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ।
2
9
সব মিলিয়ে মূল্যবান ধাতুগুলি আরও গতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট সোনার দাম একসময় ১.২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪,৫৩০ মার্কিন ডলারেরও উপরে উঠে নতুন রেকর্ড গড়ে।
3
9
ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি এই সময়ে বড় ভূমিকা নিয়েছে। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেলবাহী ট্যাঙ্কার অবরোধ করেছে। পাশাপাশি নাইজেরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনা অভিযানও বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে, যা সোনার ‘সেফ হ্যাভেন’ আকর্ষণ আরও জোরদার করেছে।
4
9
রুপোর উত্থান আরও নাটকীয়। টানা পঞ্চম দিনের মতো দাম বাড়িয়ে স্পট সিলভার একসময় ৪.৬ শতাংশ লাফ দিয়ে প্রতি আউন্স ৭৫ মার্কিন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে।
5
9
মার্কিন ডলারের দুর্বলতাও বড় সহায়ক হিসেবে দেখা গিয়েছে। ব্লুমবার্গ ডলার স্পট ইনডেক্স এই সপ্তাহে ০.৭ শতাংশ কমেছে, যা জুনের পর সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক পতন। সাধারণত ডলার দুর্বল হলে সোনা ও রুপোর মতো পণ্যের দাম বাড়ে।
6
9
চলতি বছরে সোনার দাম প্রায় ৭০ শতাংশ এবং রুপোর দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ১৯৭৯ সালের পর যা সেরা বার্ষিক পারফরম্যান্স।
7
9
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির ব্যাপক ক্রয়, ইটিএফে বিনিয়োগ প্রবাহ এবং মার্কিন ফেডের টানা তিন দফা সুদহার কমানো এই অবস্থার মূল চালিকাশক্তি। ২০২৬ সালেও আরও সুদ কমার প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
8
9
সব মিলিয়ে, ঋণসঙ্কট, বাণিজ্য উত্তেজনা ও মুদ্রার অবমূল্যায়নের আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা যখন ঝুঁকি এড়াতে চাইছেন, তখন সোনা, রুপো হয়ে উঠছে তাদের সবচেয়ে ভরসার আশ্রয়।
9
9
বছর শেষ হতে আরও কয়েকদিন বাকি রয়েছে। তার মধ্যে সোনা-রুপোর দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেখানেই এখন বিশেষজ্ঞদের নজর রয়েছে। নজর রয়েছে ক্রেতাদেরও।