৭ মাস নয়, এমনকী ১১ মাস বা এক বছর পরেও নয়। কোনও মহিলা গর্ভবতী হওয়ার ঠিক ৯ মাস পরেই কেন মানব শিশুর জন্ম হয় কখনও ভেবেছেন? বিজ্ঞান নয় সাম্প্রতিক অতীতে ব্যাখ্যা করেছে ভ্রূণ বিকাশের রহস্য। কিন্তু তার বহু বহু যুগ আগেই প্রাচীন গ্রন্থে মানব শিশুর জন্মের সঙ্গে এই ৯ মাসের রহস্যের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কেন ৯ মাস পরেই ভূমিষ্ঠ হয় মানব শিশু। 

৯ মাস কেবল একটা ভ্রূণ থেকে শরীরের বিকাশ, নির্মাণের যাত্রা নয়, এমনকী আত্মার বিস্মৃতি, অবরোহণ এবং পুনর্জন্মের জন্য তাকে প্রস্তুত হওয়ার জন্যও প্রয়োজনীয়। একাধিক ভারতীয় প্রাচীন গ্রন্থে বলা হয়েছে, জীবনচক্র কেবল জন্ম থেকে শুরু হয় না। বরং জন্মকে প্রবেশের বিন্দু বলে মনে করা হয়। 

প্রাচীন গ্রন্থের মতে ৯ মাসের রহস্য: 

একাধিক প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে, গর্ভকে কেবল আশ্রয় স্থল হিসেবে দেখা হয় না। এমনকী এটা এক এরকমের চৌকাঠ বলেও গণ্য করা হয়। গর্ভ উপনিষদ অনুযায়ী, আত্মা গর্ভে প্রবেশ করে। এই আত্মায় আগে থেকে পূর্বজন্মের কর্ম ফলের ভার থাকে। 

অন্যদিকে পুরাণে গর্ভকে এমন এক জায়গা বলে দেখানো হয়েছে যেখানে আত্মা ধীরে ধীরে তার ব্রহ্মাণ্ডের চেতনা হারিয়ে ফেলে। এই ৯ মাস ধরে আত্মা তার স্মৃতিকে মুছে ফেলতে কাজে লাগায়। মুক্ত হয় সমস্ত সীমা, সময়, শরীর, খিদে এবং ভাবনা থাকে। 

ধর্মীয় সাহিত্যের মতে, ৯ সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব আছে। এটা পূর্ণতাকে বোঝায়। ভারতীয় ব্রহ্মাণ্ড বিজ্ঞান যেমন ৯টি চক্র দ্বারা পরিচালিত, এটিই ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রিত করে। 

বিজ্ঞান অনুযায়ীও কেন শিশুরা ৯ মাস গর্ভে থাকে? 

শিশুরা ৯ মাসের আগে যদি জন্মায় তাহলে তাদের শরীরের পূর্ণ বিকাশ যে ঘটে বা সে কথা তো সকলেরই জানা। আর এর প্রভাব সোজাসুজি তার স্বাস্থ্যের উপর পড়ে। তাই বিজ্ঞান অনুযায়ীও ৯ মাস শিশুকে গর্ভে রাখা হয়। 

গর্ভে থাকাকালীন কোন গ্রহের কোন সময় প্রভাব পড়ে? 

গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে শুক্রের প্রভাব সবথেকে বেশি থাকে। তাই এই সময় যদি কারও শুক্র দুর্বল থাকে তাহলে সেটা শক্তিশালী করার দিকে নজর দেওয়া উচিত। এতে শিশু সুন্দর হয়। দ্বিতীয় মাসে মঙ্গলের প্রভাব বেশি থাকে। এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের বেশি করে মিষ্টি খাওয়া উচিত। তৃতীয় মাসে বৃহস্পতির প্রভাব বেশি থাকে বলে এই সময় হলুদ বস্ত্র এবং মিষ্টি খাওয়া উচিত বেশি করে। 

চতুর্থ মাসে সূর্য, পঞ্চমে চন্দ্র, ষষ্ঠ মাসে শনির প্রভাব বেশি থাকে। আর শেষ তিন মাস যথাক্রমে বুধ, চন্দ্র এবং সূর্যের প্রভাব বেশি থাকে।