কথায় বলে, ভালবাসার শক্তি অপরিসীম। অনেক কঠিন কাজ শুধুমাত্র মনের মানুষের জন্য হাসিমুখে করা যায়। যুগ যুগ থেকে যার কত না নির্দশন মিলেছে। সময়ের সঙ্গে যদিও ভালবাসার সংজ্ঞা বদলে গিয়েছে। কিংবা বলা যায় আধুনিক জীবনের জাঁতাকলে ভালবাসার ধরন বদলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু আজও সঙ্গীর উষ্ণ পরশে যেন অনেক কঠিন মনের অসুখ নিমেষে ভ্যানিস হয়ে যায়। আবার কেবল ভালবাসার মানুষের ছোঁয়াতেই খুলতে পারে অন্তর্বাসও! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। বাস্তবে এমনই উন্নত প্রযুক্তি এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জাপানের এক পড়ুয়া। তিনি তৈরি করেছেন এক অভিনব “বায়োমেট্রিক ব্রা”, যা সাধারণভাবে খোলা যায় না। এই ব্রা কেবল তখনই খুলবে যখন যিনি এই অন্তর্বাস পরেছেন তিনি সত্যিকারের প্রেমের আবেগ অনুভব করবেন।

কিভাবে কাজ করে এই অভিনব অন্তর্বাস

অন্তর্বাসটি হালকা, রিচার্জেবল এবং নরম, টেকসই কাপড় দিয়ে তৈরি। ডিজাইনার দলের দাবি, এই ব্রা-এর মধ্যে জল প্রতিরোধ করতে পারে এমন চিপ এবং সেন্সর বসানো হয়েছে যা মহিলার হৃদস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করে। যখনই তিনি প্রিয়জনের স্পর্শে বিশেষ ধরনের উত্তেজনা বা ভালবাসার আবেগ অনুভব করবেন, তখন হৃদস্পন্দনের হার এক বিশেষ মাত্রায় পৌঁছযবে। সেই সিগন্যাল পাওয়ার পরই অন্তর্বাসের ‘লক’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। প্রিয়জনের আঙুলের ছাপ দিয়েই খোলা যাবে এই বিশেষ অন্তর্বাস। 

আরও পড়ুনঃ বছরের পর বছর আর অপেক্ষা নয়! এবার মামলায় দ্রুত রায় দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা? ভারতে আসছে ‘রোবো বিচারক’!

আসলে এই অন্তর্বাসে গোপন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর রয়েছে, যা স্মার্টফোনে ব্যবহৃত প্রযুক্তির মতো। একবার প্রোগ্রাম করা হয়ে গেলে, এটি কেবল একটি ছাপ চিনতে পারে, যা হল সঙ্গীর। তাই জোর করে এটি খোলা সম্ভব নয়। অন্তর্বাস পরিধানকারী যাতে নিজের শর্তে ঘনিষ্ঠ হতে পারেন, সেই লক্ষ্যে বিশ্বাস ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি নির্মাতাদের। 

ডিজাইনাররা জানিয়েছেন, তাঁরা মহিলাদের শারীরিক গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এই প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। তাঁদের বিশ্বাস, এই ভাবনা ফ্যাশন ও প্রযুক্তির জগতে নতুন দিক খুলে দিতে পারে। যদিও সামাজিক মাধ্যমে কেউ এই অন্তর্বাসকে অভিনবত্ব হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মজা করে বলছেন,“প্রেমের পরীক্ষায় এবার ব্রা-ই হবে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নপত্র!”