আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাম্পত্য থাকলে দাম্পত্যকলহও থাকবে। আবার পারস্পরিক বোঝাপড়া সেটা মিটেও যাবে। কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্ক এমন দিকে এগিয়ে যায় যা পারস্পরিক যোগাযোগ নষ্ট করে দেয়। তার পরিণতি হয় বিবাহ বিচ্ছেদ। এবার সামনে এলো এমনই এক অদ্ভুত ঘটনার কথা, যা শুনে চমকে উঠেছেন নেটিজেনদের একটি বড় অংশ। সদ্যোজাত সন্তানকে স্তন্যদান করার জন্য স্ত্রীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন এক স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়।

এপ্রিল নামের ওই মহিলা গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন এক্স ( টুইটার ) হ্যান্ডেলে। প্রমাণস্বরূপ তুলে ধরেছেন স্বামী জনাথনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের স্ক্রিনশট। আর সেই স্ক্রিনশট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। কি এমন লিখেছেন জনাথন?
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?

স্ত্রীর প্রতি বার্তায় জনাথন লিখেছেন, “তুমি স্তন্যদান করছ? তুমি জানো এই বিষয়টা আমার কতটা খারাপ লাগে।”
উত্তরে এপ্রিল লেখেন, “ঠিক আছে, তোমার যদি বিষয়টি দেখতে ভাল না লাগে তাহলে আমি অন্য ঘরে গিয়েও কাজটি করতে পারি।”
এরপর জনাথন আরও দাবি করেন, তাতে তাঁর সমস্যা কিছুই কমবে না। বরং তিনি আরও বেশি এই নিয়ে চিন্তা করবেন। এপ্রিলকে স্তন্যদান থেকে বিরত করার জন্য জনাথন দাবি করেন, বাজার থেকে কেনা শিশু খাদ্যের সঙ্গে মায়ের বুকের দুধের কোনও পার্থক্য নেই। তাই তাঁদের সন্তানকে নিঃসংকোচে বাজারজাতো বেবি ফুড খাওয়ানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?

কিন্তু জনাথন ঠিক কেন এমন ব্যবহার করছেন? একজন মা তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে স্তন্যপান করাবেন, এর মধ্যে অস্বাভাবিক কী আছে? অস্বাভাবিকত্ব আছে জনাথনের মানসিকতাতেই। তাঁর পরবর্তী মেসেজগুলোতেই ফুটে ওঠে সেই বার্তা।
জনাথন এপ্রিলের উদ্দেশে লেখেন, “তুমি একেবারেই ভাল স্ত্রী নও। আমার মনে হয় না তুমি আমায় সম্মান কর। তুমি জানো আমি তোমার স্তন কতটা ভালবাসি! কিন্তু তাতে এখন আর আমার কোনও অধিকার নেই। আমাদের সন্তান তাতে ভাগ বসিয়েছে।” আপাত দৃষ্টিতে হাস্যকর মনে হলেও জনাথন সম্পূর্ণ গাম্ভীর্যের সঙ্গেই একথা বলেন।

এমনকী এই কাজ করার জন্য স্ত্রীকে সরাসরি বিবাহ-বিচ্ছেদের হুমকিও দেন তিনি। লেখেন আপাতত স্ত্রী তাঁর বাড়িতেই থাকতে পারেন। কিন্তু শীঘ্রই তাঁকে নিজের জন্য একটি চাকরি জোগাড় করতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পর বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে তাঁকে। সন্তানের অর্ধেক হেফাজত চাইবেন তিনি।

গোটা বিষয়টি ভাইরাল হতেই তীব্র নিন্দা ভেসে এসেছে সমাজমাধ্যমে। এক নেটিজেন লিখেছেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়। ওই ব্যক্তির চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।”
অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন, “খারাপ ভাবে হলেও, মহিলার জন্য এটি সাপে বর হয়েছে। লোকটি নিজের আসল নোংরা রূপটি দেখিয়ে দিয়েছে।”
জনৈক নেটিজেন গোটা বিষয়টি দেখে মারাত্মক বিস্মিত। একজন বাবা নিজের সন্তান সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করতে পারেন? পৃথিবীটা কি এতটাই নোংরা একটা জায়গায় পরিণত হয়েছে? কল্পনা করতেও কষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এক মনোবিদ আবার মন্তব্য করেছেন, “এটা এক ধরনের মানসিক বিকৃতি হতে পারে। ওই ব্যক্তির অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।”