আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্দিষ্ট আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিট  একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগের বিকল্প যা নিশ্চিত রিটার্ন এবং কম ঝুঁকি প্রদান করে। তিন বছরের বিনিয়োগের লক্ষ্য থাকলে ফিক্সড ডিপোডিট একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ উপায় হতে পারে সম্পদ বৃদ্ধির জন্য। তবে  বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদের হারের তারতম্যের কারণে সর্বোচ্চ রিটার্ন পাওয়ার জন্য সুদের হার ভালোভাবে যাচাই ও তুলনা করা গুরুত্বপূর্ণ।


তিন বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট সেইসব বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত, যারা টাকা ও রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য খোঁজেন। এখানে শীর্ষস্থানীয় কিছু প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরের ব্যাঙ্কের তালিকা দেওয়া হল যারা আগস্ট মাসের হিসেবে অনুসারে তিন বছরের মেয়াদী (১ কোটি টাকা পর্যন্ত) সেরা সুদের হার প্রদান করছে। তালিকাটি আবাসিক, খুচরা এবং জেনারেল নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। 

আরও পড়ুন: একবারেই হাতে পাবেন সাত লাখ টাকা, পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি জেনে নিন এখনই


ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক তিন বছরের FD-তে ৬.৭৫% সুদের হার দিচ্ছে, যা প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা। এই হারে, ১ লাখ টাকার FD তিন বছরে বেড়ে হবে ১,২০,২৫০।


অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ৬.৬% সুদের হার দিচ্ছে। এই হারে, ১ লাখ টাকার FD তিন বছরে হবে ১,১৯,৮০০।


এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ও কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক ৬.৪% সুদের হার দিচ্ছে। এই হারে, ১ লাখ টাকা তিন বছরে বেড়ে হবে ১,১৯,২০০।


পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক  পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬.৫% সুদের হার দিচ্ছে। এতে ১ লাখ টাকা তিন বছরে হবে ১,১৯,৫০০।


ব্যাঙ্ক অব বরোদা ও ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া তিন বছরের FD-তে ৬.৪% সুদের হার দিচ্ছে। এতে ১ লাখ টাকা হবে ১,১৯,২০০।


স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া  তিন বছরের FD-তে ৬.৩% সুদের হার দিচ্ছে। এতে ১ লাখ টাকা তিন বছরে হবে ১,১৮,৯০০।


ক্যানারা ব্যাঙ্ক ৬.২৫% সুদের হার দিচ্ছে। এতে ১ লাখ টাকা তিন বছরে বেড়ে হবে ১,১৮,৭৫০।


অন্যদিকে এসআইপি (SIP) হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, যা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার একটি পদ্ধতি। এখানে, একজন বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর (যেমন মাসিক) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেন। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করার একটি সুশৃঙ্খল উপায়, যা দীর্ঘমেয়াদে ভালো রিটার্ন দিতে পারে।


নিয়মিত বিনিয়োগ: এসআইপি-র মাধ্যমে নিয়মিতভাবে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করা যায়, যা একটি বড় অঙ্কের অর্থ একবারে বিনিয়োগ করার চেয়ে সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।
বাজারের ওঠানামার সুবিধা: এসআইপি বিনিয়োগকারীরা বাজারের ওঠানামার সুবিধা নিতে পারেন। যখন বাজার কম থাকে, তখন বেশি ইউনিট কেনা যায়, এবং যখন বাজার বেশি থাকে, তখন কম ইউনিট কেনা যায়।
দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ তৈরি: নিয়মিত এসআইপি বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে একটি ভালো সম্পদ তৈরি করা যেতে পারে।
সহজ এবং সুবিধাজনক: এসআইপি-তে বিনিয়োগ করা খুবই সহজ এবং সুবিধাজনক। বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা অনলাইনে বা অফলাইনে এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়।


একটি এসআইপি শুরু করার জন্য, একজন বিনিয়োগকারীকে প্রথমে একটি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম নির্বাচন করতে হবে, এবং তারপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ (যেমন মাসিক ১০০০ টাকা) বিনিয়োগ করার জন্য একটি এসআইপি শুরু করতে হবে। বিনিয়োগের পরিমাণ এবং সময়কাল একজন বিনিয়োগকারীর আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকির প্রবণতার উপর নির্ভর করে।