বলিউডে দীর্ঘদিনের শক্ত জমি সুনীল শেট্টির। অথচ নিজের শিকড় ম্যাঙ্গালোরে হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণী সিনেমায় তাঁকে খুব একটা দেখা যায় না। কেন? সেই প্রশ্নের সোজাসাপটা, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ উত্তরই এবার দিলেন অভিনেতা।
এক সাক্ষাৎকারে সুনীল শেট্টি খোলাখুলি স্বীকার করেছেন, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি থেকে ছবির প্রস্তাব তিনি পান ঠিকই, কিন্তু সেই চরিত্রগুলোই তাঁর আপত্তির জায়গা। অভিনেতার কথায়, “দক্ষিণ থেকে ছবির প্রস্তাব আসে, কিন্তু ওদের একটা ট্রেন্ড আছে- হিন্দি সিনেমার নায়ক মানেই সেখানে নেগেটিভ চরিত্র। ভিলেন আর কী! তাঁদের দক্ষিণী ছবিতে শক্তিশালী ভিলেন হিসেবেই দেখানো হয়। ওদের মতে, ওটাই নাকি পর্দা আর দর্শকের জন্য ভাল। কিন্তু সেটাই আমার পছন্দ নয়।”
সুনীলের মতে, বলিউডের নায়কদের দক্ষিণী ছবিতে প্রায়শই প্রতিপক্ষের ভূমিকায় ভাবা হয়, আর সেই ফাঁদে পা দিতে তিনি আগ্রহী নন। তবে একেবারে যে দক্ষিণের কাজকে এড়িয়ে চলেছেন, তা নয়। ব্যতিক্রম একটাই-রজনীকান্ত। “শুধু রজনী স্যারের সঙ্গে কাজ করার জন্যই আমি ওঁর সঙ্গে ছবি করেছিলাম,” বলেন সুনীল।
সম্প্রতি একটি ছোট ‘টুকু’ ছবিতেও ক্যামিও করেছেন তিনি। নাম, ‘জয়’। উদ্দেশ্য একটাই, নতুন উদ্যোগকে উৎসাহ দেওয়া। ছবিটি ভালই সাড়া পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, আজকের দিনে ভাষা আর বড় বাধা নয়। “যদি কোথাও বাধা থাকে, সেটা কনটেন্টে। কনটেন্ট ভাল হলে সেটা সব সীমা পেরিয়েই যাবে।”
এর মধ্যেই নতুন ভূমিকায় আসতে চলেছেন সুনীল শেট্টি। অভিনয় নয়, এবার বাস্তব জীবনের উদ্যোক্তাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে।
অ্যামাজন এমএক্স প্লেয়ার ঘোষণা করেছে তাদের নতুন রিয়েলিটি শো ভারত কে সুপার ফাউন্ডার্স। বিনামূল্যে স্ট্রিম হওয়া এই শোয়ে দেশের উদীয়মান স্টার্টআপ ফাউন্ডাররা নিজেদের আইডিয়া পেশ করবেন এক শক্তিশালী বিনিয়োগকারী প্যানেলের সামনে, যেখানে বাজি ধরা হচ্ছে নজিরবিহীন ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ।
এই শো-র সঞ্চালক ও প্রতিযোগীদের মেন্টর হিসেবে থাকছেন সুনীল শেট্টি। অভিজ্ঞতা, স্থিরতা আর উদ্যোক্তা ভাবনাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রতিযোগীদের গাইড করবেন কঠিন পিচ ও বাস্তব দুনিয়ার বাণিজ্যিক পরীক্ষার পথে। তাঁর কথায়, এই শো ভবিষ্যতের ‘চেঞ্জমেকার’দের গল্প দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার সুযোগ। কাজের দিক থেকেও ব্যস্ত সুনীল। বড় পর্দায় ফের তাঁকে দেখা যাবে বহু প্রতীক্ষিত ‘হেরা ফেরি ৩’ এবং ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’-এ।
এককথায়, অভিনেতা হিসেবে নিজের অবস্থানেও স্পষ্ট সুনীল শেট্টি-ভাষা নয়, চরিত্র আর কনটেন্টই শেষ কথা।
