আজকাল ওয়েবডেস্ক: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার অর্থ হল সেখানে দীর্ঘসময় ধরে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। যদি আপনি টানা বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে সেখানে আপনি লাভের টাকা দেখতে পারবেন। তাই আগে থেকেই নিজেকে সেইমতো তৈরি করে রাখতে পারেন।


এখানে বিনিয়োগ করতে হলে আপনাকে ১,৩,৫ বা ৩০ বছরের জন্যেও বিনিয়োগ করতে পারেন। তাই দীর্ঘসময় ধরে আপনাকে বিনিয়োগ করার মানসিকতা থাকতে হবে। যদি আপনি একবারে ১৬ লাখ টাকা একবারে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে আপনি ১২ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। তাহলে আপনি মোট গেন করবেন ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৭ টাকা। মোট ভ্যালু ছিল ৪৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৭ টাকা। 


যদি ১৬ লাখ টাকা আপনি ২০ বছর ধরে বিনিয়োগ করে রাখতে পারেন তাহলে সেখানে আপনার মোট গেন হবে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯ টাকা। মোট ভ্যালু থাকবে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯ টাকা। 


যদি ১৬ লাখ টাকা আপনি ২২ বছর ধরে বিনিয়োগ করে রাখতে পারেন তাহলে সেখানে আপনার মোট গেন হবে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৯৬ টাকা। মোট ভ্যালু হবে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৯৬ টাকা।


যদি ১৬ লাখ টাকা আপনি ২৬ বছর ধরে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনার মোট গেন হবে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার ১১৫ টাকা। মোট ভ্যালু হবে ৩ কোটি ৪ লাখ ৬৪ হাজার ১১৫ টাকা।


মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।


মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 


মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক। 

আরও পড়ুন: জিএসটি নিয়ে জেরবার, এবার প্রতিবাদের পথে নামছে এই রাজ্যের ব্যবসায়ীরা


মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন - ইক্যুইটি ফান্ড (Equity fund), Debt Fund, এবং হাইব্রিড ফান্ড (Hybrid fund)। এই ফান্ডগুলি মূলত স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। এই ফান্ডগুলি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন প্রদান করে।এই ফান্ডগুলি ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে, যা ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।

 


তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই আপনি আগে থেকে সমস্ত তথ্য ভাল করে দেখে নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি বিনিয়োগ করতে গিয়ে আপনার কোনও সমস্যা হয় বা যদি আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েন তাহলে তার দায় আজকাল ডিজিটাল নেবে না।