আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক দলের সদস্য সি মুরুগান নির্বাচন কমিশনের রোল অবজার্ভারদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা চেয়েছিলেন। তাতেই মিলল সায়। রোল অবজার্ভারদের সঙ্গেই খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচন কমিশন দপ্তরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় দিন কয়েক আগেই এসআইআর প্রক্রিয়া পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক দলের সদস্য। এরপরই রোল অবজার্ভারদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সি মুরুগান। বিষয়টির গুরুত্ব আঁচ করে তাই পদক্ষেপ করল কমিশনও। এবার, এসআইআর-এর হিয়ারিংয়ে যখন অবজার্ভাররা জেলায় জেলায় যাবেন, তখন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এছাড়াও এদিন সিইও দপ্তর থেকে বেশ কয়েকটি বিষয় জানানো হয়েছে। সেগুলো হল-
বিএলও, ইআরও আধিকারিকদের পর এবার শোকজ নোটিশ পাঠানো হল সরাসরি ভোটারকে। এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের এক বাসিন্দার ক্ষেত্রে। তাঁর খসড়া তালিকায় নাম উঠেছে দুই জায়গায়, অশোকনগর এবং কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায়। ফলে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে ওই ভোটারকে।
এবার নতুন করে আবার নিয়োগ করা হল অ্যাডিশনাল এইআরও আধিকারিক। রাজ্যে মোট নতুন করে অ্যাডিশনাল ইআরও নিয়োগ করা হয়েছে ২৮০০ জন। এছাড়া ইআরও রয়েছেন ২৯৪ জন। এইআরও রয়েছেন ৩০০০ জন।
এসআইআর-এর খসড়া তালিকা বেরিয়েছে। সিইও দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের তরফেই কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে হিয়ারিং এর নোটিশ পাঠানো নিয়ে, যা এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। কমিশনের তরফে খবর, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫) থেকে নোটিশ পাঠানো শুরু হবে।
হিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে কোন সিসিটিভি নয়, ব্যবহার করা হবে আরও অত্যাধুনিক ডিভাইস। এছাড়া থাকবে মাইক্রো অবজার্ভারের ব্যবস্থা।
ফর্ম ৬-৭- ৮ এখন যদি পুরো না করে জমা দেওয়া হয় তাহলে ১৪ তারিখের পরেও তা পূরণ করা যাবে, কিন্তু সেক্ষেত্রে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত থাকবে না।
আগামী ১৪ তারিখ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বেরোনোর পর যদি এইআরও অর্থাৎ বিদেশি নিবদ্ধকরণ দপ্তর বা কার্যালয় কোনওরকম অভিযোগ আনে তাহলে সেক্ষেত্রে ইআরও আধিকারিকদের উপর দায় বর্তাবে। সেক্ষেত্রে ইআরও আধিকারিককে সাজা পর্যন্ত দিতে পারে নির্বাচন কমিশন।
