আজকাল ওয়েবডেস্ক: জিএসটি-র গেরোতে মাথায় হাত কর্ণাটকের ব্যবসায়ীদের। সেখানকার ছোটো ব্যবসায়ীরা এবার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছোটো দোকানদার থেকে শুরু করে চায়ে দোকান, কফির দোকান সকলেই যোগ দেবেন। চলতি মাসের ২৫ জুলাই তারা প্রতিবাদের পথে নামবেন বলেও খবর মিলেছে।
কর্ণাটকের এক ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা জিএসটি-র জেরে একেবারে জেরবার হয়েছেন। পাশাপাশি অনলাইনে পেমেন্ট নিয়েও তারা বেশ চাপে রয়েছেন। তাই তারা এবার প্রতিবাদের পথে যাবেন। তাদের মতে, ছোটো ব্যবসায়ীদের কাজের দিক থেকে তারা প্রচুর অনলাইন লেনদেন করছেন। সেখানে গ্রাহকরাও অনলাইনে গিয়ে তাদের টাকা মিটিয়েছেন। তবে এরপর যে হারে তাদের জিএসটি নোটিশ এসেছে সেখান থেকে তারা এবার প্রতিবাদে পথে নামছেন।
প্রসঙ্গত, গোটা দেশে যেখানে ডিজিটাল পেমেন্টের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে সেখানে দেশের একমাত্র শহর রয়েছে যেখানে এই ডিজিটাল পেমেন্ট থেকে মুখ ফিরিয়েছে সকলেই।

বেঙ্গালুরু এবার থেকে ডিজিটাল পেমেন্টকে বুড়ো আঙুল দেখাল। তারা কোনও ধরণের ইউপিআই লেনদেন করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ছোটো দোকানদার, রাস্তার ধারে দোকানদার সকলেই ইউপিআই-কে বর্জন করল। তারা একেবারে হাতে হাতে নগদ নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তাদের দোকানের বাইরে তারা লিখে দিয়েছেন এখানে কোনও ইউপিআই চলবে না। শুধু নগদ চলবে।
স্থানীয় এক দোকানি জানিয়েছেন তিনি প্রতিদিন দোকান চালিয়ে সামান্য টাকা আয় করেন। সেখানে যদি তাকে জিএসটি দিতে হয় তাহলে তিনি বিরাট সমস্যায় পড়বেন। পাশাপাশি ইউপিআই পেমেন্ট করার পর তাকে টাকা তুলতে বারে বারে ব্যাঙ্কে যেতে হয়েছে। তিনি এর থেকে মুক্তি চান। তাই তিনি ফের একবার নগদ টাকাতে ফেরত যেতে চান।
এই ঘোষণার পর বেঙ্গালুরুর প্রশাসন বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। তারা মনে করছেন যেভাবে রাস্তার ধারে থাকা দোকানিরা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখান থেকে তাদের কাছে এবার জিএসটি নোটিশ আসতে পারে। সেখানে ইউপিআই পেমেন্ট করে তারা নিজেদের জিএসটি দিতে পারতেন। তবে তারা সেখান থেকে নিজেদের সরিয়ে দিয়েছেন। এটি সঠিক নয়। ফলে সকলকেই নোটিশ দেওয়া হবে।

বেঙ্গালুরুর কিছু ছোট ব্যবসায়ী ইউপিআই লেনদেন বন্ধ করে নগদ লেনদেনে ফিরে যাচ্ছেন। এর কারণ হল জিএসটি (পণ্য ও পরিষেবা কর) সংক্রান্ত সমস্যা এবং কর নোটিশের ভয়। অনেক ছোট ব্যবসায়ী যারা অনলাইনে পেমেন্টের জন্য কিউআর কোড ব্যবহার করতেন, তারা এখন তা সরিয়ে নিচ্ছেন এবং গ্রাহকদের নগদ টাকা দিতে বলছেন।
আরও পড়ুন: সামনেই উৎসবের মরসুম, এই সময় সোনা বা রূপো কেনা কতটা লাভজনক, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
কিছু বিক্রেতা ইউপিআই পেমেন্ট নিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন এবং তাদের ব্যবসা অনিবন্ধিত হওয়ায় তদন্তের ভয় পাচ্ছেন। এর ফলে বেঙ্গালুরুতে ডিজিটাল পেমেন্টের পরিবর্তে নগদ লেনদেন আবার বাড়ছে।
জিএসটি সংক্রান্ত সমস্যা: কিছু ছোট ব্যবসায়ী জিএসটি'র আওতায় আসেন না এবং তারা জিএসটি'র নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নন। তাই, তারা জিএসটি'র নোটিশ এবং জরিমানা এড়াতে ইউপিআই লেনদেন বন্ধ করে দিচ্ছেন।
হয়রানির ভয়: কিছু বিক্রেতা ইউপিআই লেনদেনের তথ্য ব্যবহার করে তাদের হয়রানি করা হতে পারে এই ভয়ে আছেন।
অনিবন্ধিত ব্যবসা: অনেক ছোট ব্যবসায়ী এখনও তাদের ব্যবসা নিবন্ধন করেননি, এবং ইউপিআই লেনদেন তাদের ব্যবসার তথ্য প্রকাশ করতে পারে, যা তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
প্রযুক্তিগত সমস্যা: কিছু ক্ষেত্রে, ইউপিআই পেমেন্টে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা যায়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সমস্যা তৈরি করে। ব্যবহারকারীরা মাঝে মাঝে লেনদেন করতে ব্যর্থ হন।
