আজকাল ওয়েবডেস্ক: পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে ভারত ৪ উইকেট হারানোর পর থেকেই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। হারের ভয় প্রবেশ করে শুভমন গিলদের শিবিরে। দিনের শুরুতে জয়ের জন্য ১৩৫ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সেই টার্গেটও বিশাল মনে হয়। তারপর একাই কুম্ভ রক্ষা করেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথমে যশপ্রীত বুমরা, পরে মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু শেষমেষ তীরে এসে তরী ডোবে। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় লর্ডস টেস্ট। ৭৪.৫ ওভারে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ২২ রানে হারেন শুভমন গিলরা। তিনটে করে উইকেট নেন বেন স্টোকস এবং জোফ্রা আর্চার। জোড়া উইকেট ব্রাইডন কার্সের। 

জাদেজার আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও দলকে জেতাতে পারেননি। ভারতীয় অলরাউন্ডারের জন্য সমবেদনা ছেয়ে যায় নেটমাধ্যমে। কিন্তু সুনীল গাভাসকর মনে করছেন, পার্টনারশিপ গড়তে না পারাই হারের অন্যতম কারণ। ৬০-৭০ রানের জুটি পার্থক্য গড়ে দিতে পারত। সানি বলেন, '৬০-৭০ রানের পার্টনারশিপ পার্থক্য গড়ে দিতে পারত। ভারতের সেটা হয়নি। জো রুট এবং শোয়েব বশির বল করার সময় জাদেজা সুযোগ নিতে পারত। তবে ওকে ফুল মার্কস দিতে হবে।' প্রথম সেশনে ঋষভ পন্থ এবং কেএল রাহুল ফিরে যাওয়ার পরই আশঙ্কা ঘিরে ধরে। মধ্যাহ্নভোজের ঠিক আগের ওভারে নীতিশ রেড্ডির আউট আশঙ্কা বাড়ায়। তারপরই দেওয়াল লিখন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেটা দীর্ঘায়িত করেন জাদেজা। আট উইকেট হারানোর পরও ভারত যে এতদূর যেতে পারবে, কেউই ভাবতে পারেনি। জিততে পারলে একপ্রকার মিরাকেল হত। 

হারের কারণ হিসেবে পার্টনারশিপ না গড়ে ওঠাকেই দায়ী করেন গিল। বলেন, 'আমি দলের খেলায় গর্বিত। আমরা যতটা সম্ভব কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সকালে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। অনেক ব্যাটিং বাকি ছিল। টপ অর্ডারে আমাদের কয়েকটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল। আমরা সেটা করতে পারিনি। ওরা আমাদের থেকে ভাল খেলেছে। তবে আমরা সবসময় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা রাখি। টার্গেট বড় ছিল না। একটা পার্টনারশিপ হলেই আমরা ম্যাচে ফিরতাম। জাড্ডু খুবই অভিজ্ঞ প্লেয়ার। ওকে কোনও বার্তা দেওয়ার ছিল না। শুধু চাইছিলাম ওর সঙ্গে টেলএন্ডাররা টিকে থাকুক।' নিজে ম্যাচের সেরা হলেও, জয়ের কৃতিত্ব আর্চারকে দেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বলেন, 'ছয় বছর আগে ২০১৯ সালে ও প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল এদিনও ও বিশেষ কিছু করবে এবং আমাদের জন্য গেম ওপেন করে দেবে। তাই ওর সঙ্গে একটু আলোচনা করি। ব্রাইডন দারুণ বল করেছে। তবে আমার মনে হয়েছিল, প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে জোফ কিছু করে দেখাবে।' ২৩ জুলাই থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু চতুর্থ টেস্ট।