ইস্টবেঙ্গল-২ কাস্টমস-২
(অনন্থু, প্রভাত) (শিলক, সৌরভ)

আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। ২২ মিনিটের মধ্যে লাল-হলুদ ব্রিগেড পিছিয়ে পড়েছিল ২-০ গোলে। তবুও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের কাস্টমস ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে পারল নাবরং দ্বিতীয়ার্ধে প্রবল লড়ে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ ড্র রাখল। কলকাতার তিন প্রধানের বাইরে লিগের অন্য দলগুলোও লাল-হলুদকে এখন বেগ দিচ্ছে। 

বৃষ্টির জন্য বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিলসুরুচি সংঘের সঙ্গে ড্র করে লাল-হলুদ। শনিবার জয়ের রাস্তায় ফেরার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচে কাস্টমস পরীক্ষা নিল লেসলি ক্লডিয়ায় সরণীর ক্লাবের। কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল তারা। বলা ভাল ইস্টবেঙ্গল কিন্তু পুরো পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারল না। এটা তাদের ব্যর্থতাই বলতে হবে।  

আরও পড়ুন: উইকেটের পর শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন, প্রয়াত দিয়েগো জোটার উদ্দেশ্যে কী বার্তা দিলেন মহম্মদ সিরাজ?

২২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে বসে ইস্টবেঙ্গল। তখন দেখে মনে হচ্ছে এ কোন লাল-হলুদ! কাস্টমসের প্রথম গোলটা পেনাল্টি থেকে। ইস্টবেঙ্গলের বক্সে চাকু মাণ্ডি ফেলে দিলেন কাস্টমসের সুময় সোমকে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি শিলক তিওয়ারি। খেলার বয়স তখন ১৮ মিনিট। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই কাস্টমস ২-০-এ এগিয়ে গেল। মাঝমাঠে বলের দখল হারালেন ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়। ডান প্রান্তে রিকি ঘরামি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ নিয়ে খেলা করে বল দেন অরক্ষিতে থাকা সৌরভ সেনকেতিনি গোল করতে ভুল করেননি। 

May be an image of 1 person, playing soccer, playing football and text that says 'ដ พพนย INTRA 5 TAFOOTBALL GUE 2025-26 5-26'
গোলের জন্য ইস্টবেঙ্গলকে অপেক্ষা করতে হয় ৬০ মিনিট পর্যন্ত। হেডে গোল করেন অনন্থু। 

ইস্টবেঙ্গল অবশ্য গোলের সুযোগ পেয়েছিল আগেইফ্রি কিক থেকে গোল করার মতো জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন জোসেফ জাস্টিনকিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি বল বাইরে মারেন কীভাবে এমন সোনার সুযোগ নষ্ট করলেন তা নিজেই বুঝে উঠতে পারেননিবাকি সময়টা গা জোয়ারি ফটবল খেলতে গেলেন তিনিকাস্টমসের গোলদাতা সৌরভকে বিশ্রী ভাবে মারলেন। রেফারি হলুদ কার্ড দেখাল। বাবুয়া সিংকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেন। রেফারির দাক্ষিণ্যে সেই যাত্রায় কার্ড দেখেননি। রেফারি কার্ড দেখালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। তার আগে লাল-হলুদের সঞ্জীব ঘোষ উড়িয়ে দিলেন গোলের সহজ সুযোগ।

বিরতির পরে ইস্টবেঙ্গল পরিবর্তন আনে দলে। তার ফলও পায়। লাল-হলুদ শিবিরকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৬০ মিনিট পর্যন্ত। পরিবর্ত হিসেবে নামা অনন্থু ২-১ করেন হেডে। জেসিন টিকের সেন্টার থেকে গোল করেন। তার আগে চাপ বাড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। একাধিক কর্নার পায় তারা। একসময়ে ভেঙে পড়ে কাস্টমসের রক্ষণ। কাস্টমসের গোলকিপার অর্নেন্দু দত্তর পায়ে টান ধরে। কিন্তু তাঁকে তোলা হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এই সময়ে কাস্টমসের অনেকেই হতদ্যোম হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৭০ মিনিটে প্রভাত লাকরা সমতা ফেরান। ডান প্রান্ত থেকে নসীবের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন প্রভাত। 

এর পরে দুই দল সুযোগ তৈরি করলেও গোল আর হয়নি। ম্যাচ ড্র রাখায় উভয় দলই সন্তুষ্ট। তবে ভাবার মতো বিষয় হল, কাস্টমস দুই গোলে এগিয়ে থাকেও ম্যাচ ধরে রাখতে পারল না। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের মতো পোড়খাওয়া কোচ নিশ্চয় বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল শুরুতেই গোল হজম করে বসল। কেন গোল হজম করতে হল, সমস্যা কোথায়, বিনু জর্জ নিশ্চয় ম্যাচ নিয়ে কাটাছেঁড়া করবেন। 

আরও পড়ুন: 'জীবন অনির্দেশ্য', লর্ডস টেস্টে দিয়েগো জোটাকে শ্রদ্ধা টিম ইন্ডিয়ার তারকা বোলারের