যখন কোনও রোগ ধরা পড়ে বা বাড়াবাড়ি হয়, তখনই টনক নড়ে। শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। ছোটখাট উপসর্গ অনেকেই যেমন এড়িয়ে যান, তেমনই অধিকাংশ মানুষই রোজকার জীবনযাপনে নজর দেন না। অথচ, কম বেশি অনেক রোগের জন্য কিন্তু এটাই দায়ী! রোজকার জীবনে কী খাচ্ছেন না খাচ্ছেন সেটা স্বাস্থ্যে দারুণ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে বাড়তে পারে কর্কট রোগ শরীরে থাবা বসানোর ঝুঁকি। 

রোজ কী খাচ্ছেন না খাচ্ছেন তার উপরেই নির্ভর করে হজম কেমন হবে, হরমোনে তারতম্য ঘটবে কিনা, প্রদাহ বাড়বে কিনা, হলে কতটা, সহ সমস্ত কিছুই। আপনার খাদ্যাভাসের কারণে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়লেও, কোনও খাবার সোজাসুজি সেই অর্থে ক্যানসারের 'কারণ' নয়। তবে কোন খাবার নিয়মিত খেলে লাফিয়ে লাফিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে জেনে নিন। 

প্রসেসড মাংস: সসেজ, বেকন, হ্যাম, সালামি, ইত্যাদি ধরনের খাবার যদি নিয়মিত খান তাহলে কিন্তু ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়বে। এই খাবারগুলোতে নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট থাকে, যা শরীরে ঢুকে নাইট্রোস্যামাইন্স তৈরি করতে পারে। এটি কার্সিনোজেনিক। ঝলসানো মাংসও পলিসাইলিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি করে, এটিও ক্যানসারের কারণ। 

অতিরিক্ত রেড মিট খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। অর্থাৎ গরুর মাংস থেকে শুরু করে পর্ক, ভেড়ার মাংস রোজ রোজ খাওয়া, তাও হাই টেম্পারেচারে রান্না করা ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এই ধরনের মাংস কোলন এবং প্যানক্রিয়েটিক ক্যানসার ঘটায়। 

অতিরিক্ত ভাজাভুজি: ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, চিপস, পকোড়া-সহ অন্যান্য যে কোনও ধরনের অতিরিক্ত ভাজাভুজি রোজ রোজ খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি হুহু করে বেড়ে যায়। স্টার্চ রয়েছে এমন খাবার যখন হাই টেম্পারেচারে রান্না করা হয় তখন অ্যাক্রিলামাইড নামক এক রাসায়নিক তৈরি হয়, যা ক্যানসার ঘটায়। 

মদ: মদ ভেঙে এমন একটি টক্সিক যৌগ তৈরি করে শরীরে যেটা ডিএনএ নষ্ট করে দেয়। কোষকে মেরামত হওয়া থেকে আটকায়। নিয়মিত মদ খেলে ব্রেস্ট, লিভার, গলা, মুখ বা কোলন ক্যানসার হতে পারে। 

প্যাকেজড খাবার: যে কোনও ধরনের রেডি টু ইট খাবারেই অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকে। সঙ্গে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট, ইত্যাদি। এই জাতীয় খাবার রোজ রোজ খেলে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যানসার হতে পারে। 

কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং অন্যান্য চিনি যুক্তি রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট: চিনি নিজে ক্যানসারের কারণ না হলেও, এটি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ে, কমে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা। ফলে বাড়ে প্রদাহ। এই কারণে কোলন ক্যানসার থেকে শুরু করে ব্রেস্ট, মেটাবলিক ক্যানসার হতে পারে।