আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ‘ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং ’ অন্যতম আলোচিত বিষয়। সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ, আইপিও-তে আবেদন, পারিপার্শ্বিক আয়, এই সবই সফল জীবনের হাতিয়ার। তবে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোরামে ভাইরাল হয়েছে এক ব্যবহারকারীর পোস্ট। সেই পোস্টে তিনি জানিয়েছেন কীভাবে তাঁর কাকা বিলাসবহুল জীবনযাপন না করেও ৪.৭ কোটির সম্পত্তি গড়ে ৪৫ বছরেই অবসর নিতে পেরেছেন। পোস্টটির লেখক জানান, ‘এই ছিল আমার কাকা। কোনো ঝাঁ-চকচকে চাকরি নয়, ব্যবসাও নয়, স্টক ট্রেডিং তো দূর অস্ত। শুধু একটা সোজাসাপটা চাকরি, যা মাঝারি রকমের বেতন দিত’।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর কাকা প্রায় ৩০ বছর ধরে একই ফ্ল্যাটে থাকেন, স্কুটার চালান এবং খুব কমই বেড়াতে যান। তবে এই সাধারণ জীবনযাপনই তাঁকে ধীরে ধীরে অবিশ্বাস্য আর্থিক স্বাধীনতার পথে পৌঁছে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মূল কৌশল ছিল ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা। তিনি ১৯৯৮ সালে প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা এসআইপি ফান্ডে বিনিয়োগ করা শুরু করেন। এরপর বেতনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে সেই টাকার অঙ্ক বাড়াতে থাকেন। প্রথমে ৫০০, পরে ১০০০, ২০০০, এবং তারপরে ৫০০০।
ওই পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘৪৫ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার পর আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, উনি কীভাবে এটা করলেন? কাকা তাঁর ব্যাঙ্কের পাসবুক আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সেখানে দেখলাম মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪.৭ কোটি। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম’। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই ব্যক্তির কাকা ও কাকিমা প্রতি সপ্তাহান্তে কোথাও না কোথাও বেড়াতে যান, কিন্তু তাঁর সন্তানরা এখনও জানেন না বাবা-মার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ কত! এই পোস্টে ইতিমধ্যেই ৯ হাজারেরও বেশি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং শতাধিক কমেন্ট এসেছে।
কেউ লিখেছেন, ‘ওনার কাছে জীবনের লক্ষ্য স্পষ্ট ছিল। সেটা পূরণ করেছেন। ১০ কোটি না বাঁচিয়ে ৪.৭ কোটি নিয়ে অবসর নিয়েছেন—এটাই তো সার্থকতা’। অন্য একজন বলেছেন, ‘ভালই করেছেন, শুরুতেই সঞ্চয় শুরু করেছিলেন। এখন অন্তত স্বাধীনভাবে জীবন কাটাতে পারছেন’। আরও একজন মজা করে মন্তব্য করেন, ‘আমি বরং ২০-৪০ বছর বয়সে জীবন উপভোগ করব, তার চেয়ে বেশি ৪০-৭০ বছরের শান্তি চাই না। অতিরিক্ত সঞ্চয়ে জীবনের রঙটাই মাটি হয়ে যায়’। এই ঘটনা একদিকে যেমন সঞ্চয়ের গুরুত্ব শেখায়, তেমনই জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তাও সামনে আনে।
