আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৪ দিন ধরে মহাকাশে রয়েছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা এবং তার টিম। ১৪ জুলাই থেকে ফের পৃথিবীর দিকে যাত্রা শুরু করবেন তিনি। তবে ঘরে ফেরত আসার আগে মহাকাশেই নিজের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি মাতলেন বিরাট ভোজে।
 
 এই ছবি এখন সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে। যেভাবে তারা জিরো গ্রাভিটিতে নিজেদের মধ্যে পার্টিতে মজে রয়েছেন তা দেখে সকলেই আনন্দিত। একেবারে হাওয়াতে ভেসে থেকেই তারা দিব্যি নিজেদের মতো করে খাবার খেয়ে চলেছেন। মহাকাশে থাকার এমন অভিজ্ঞতা তাদের জীবনে একেবারে নতুন।
 
 বৃহস্পতিবারই নাসা জানিয়ে দিয়েছে শুভাংশু সহ তার দল ১৪ জুলাই থেকে ফের পৃথিবীর দিকে নিজেদের যাত্রা শুরু করবে। সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে নাসা। তাদেরকে ফের একবার প্রশান্ত মহাসাগরের বুকেই ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত করেছে নাসা। 
 
 গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশ শুক্লা প্রথম ভারতীয় যিনি আইএসএস গিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি হলেন রাকেশ শর্মার পর দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি মহাকাশে এতটা সময় কাটাবেন। রাকেশ শর্মা ১৯৮৪ সালে মহাকাশে গিয়েছিলেন। 
 
 ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে এখন রয়েছেন এক ভারতীয়। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। বর্তমানে তিনি প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছেন। ধরা যেতে পারে শুভাংশু বর্তমানে আপনার মাথার ওপরেই রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৪৪৪ দিনের বিশেষ ফিক্সড ডিপোডিট স্কিম রয়েছে এই ব্যাঙ্কগুলিতে, বিনিয়োগেই মিলবে সোনার ফসল
 
 আইএসএস তৈরি করেছে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান এবং কানাডা। এটিকে দেখতে অনেকটা ফুটবলের মতো। এটি পৃথিবীর ওপর ঘন্টায় ৪০০ কিলোমিটার বেগে ঘুরছে। ফলে এর গতি মহাকাশে রয়েছে ২৮ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এটি পৃথিবীকে সারাদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করছে। ফলে এর ভিতরে থাকা মহাকাশচারীরা প্রতি ২৪ ঘন্টায় ১৬ টি সূর্যোদয় দেখতে পারছেন।
 
 তবে এই গতিতে চলার পরও আপনি একে খালি চোখে দেখতে পারবেন। এটি ঠিক আপনি দেখতে পারবেন ঠিক তেমনভাবেই যেমন আপনি পৃথিবী থেকে চাঁদকে দেখা যায়। একে দেখতে হলে সূর্য ওঠার আগে বা সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে আপনি দেখতে পারেন। ফলে সেই সময় আপনি একে আকাশে উজ্জ্বল একটি নক্ষত্রের মতোই দেখতে পারবেন। তার কারণ সেই সময় এর ওপর সূর্যের আলো বিকিরণ করবে।
 
 একে খালি চোখেই আপনি দেখতে পারবেন। এর উজ্জ্বল রং আপনি নিজের কাছের মানুষদেরও দেখাতে পারবেন। এখানে ভৌগলিক দিক থেকে দেখতে হলে আপনি কেরালা এবং দক্ষিণ ভারত থেকে বেশি করে এই যানটিকে দেখতে পারবেন। সেখানে টানা ৫ মিনিট ধরেই আপনি একে দেখতে পারবেন।
 
 একে দেখতে হলে আপনার কোনও দূরবীনের দরকার হবে না। পরিষ্কার আকাশে আপনি অতি সহজেই একে দেখতে পারবেন। শুধু সঠিক সময় হলেই আপনি একে দেখতে পারবেন। তবে যত উঁচু গাছ বা বাড়ির ওপরে যাবেন ততই আরও ভালভাবে দেখতে পারবেন। 
 
 মহাকাশে যারা পাড়ি দেন তাদের সকলের স্পেস ইনস্যুরেন্স বা বিমা করানো থাকে। শুক্লা বিশ্বের দরবারে ভারতকে সামনে নিয়ে এসেছেন। তাই বিমা তৈরি করা হয়েছে একেবারে আলাদাভাবে। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে তার ২০০ কোটি টাকার বিমা করানো রয়েছে।
 
 অন্যদিকে নাসার পক্ষ থেকেও একটি বিমা করানা হয়েছে। সেখানে টাকার পরিমান ৬০ মিলিয়র ডলার। ফলে সেখানে টাকার পরিমান হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এই মিশনের খরচ, প্রশিক্ষণ ছাড়া অন্য আরও বিষয় রয়েছে।
