আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বাজারে দিন দিন সবজির দাম বেড়েই চলেছে। সঙ্গে নানা ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার তো রয়েইছে! তাই পকেট ও স্বাস্থ্য বাঁচাতে বাড়ির ব্যালকনি কিংবা ছাদেই লাগাতে পারেন বিভিন্ন সবজির গাছ। তাছাড়া বাড়িতে একটুকরো সবুজ থাকলেই নিমেষে ভাল হয়ে যায় মন। বাড়তি প্রাপ্তি দূষণ থেকে মুক্তি, পর্যাপ্ত অক্সিজেন এসব কিছু তো রয়েছেই। বিশেষ করে কিছু সবজি আছে যা বাড়িতে বেশ দুর্দান্ত হয়। যা বাজারের সবজির চেয়ে স্বাদেও অন্যরকম হবে।
ধনেপাতাঃ আমিষ হোক বা নিরামষ, রান্নায় ধনেপাতা যোগ করলে স্বাদই বদলে যায়। বাজার থেকে না কিনে বাড়িতেই সহজে ধনেপাতা চাষ করতে পারেন। যার জন্য টবেরও প্রয়োজন নেই, পুরনো কোনও গামলা বা বড় বাটিতে মাটি দিয়ে ধনেপাতার বীজ ছড়িয়ে দিন। সামান্য যত্নে ৭-১০ দিনের মধ্যে গাছ বেরিয়ে যাবে।
মেথিঃ মেথি ভারতীয় রান্নার অন্যতম একটি উপকরণ। যা তরকারি, পরোটা এবং মসুর ডাল সহ বিভিন্ন নিরামিষ সবজিতে ব্যবহৃত হয়। মেথি বীজ থেকে দ্রুত জন্মায়। ভাল সূর্যালোক এবং মাঝারি জল হলেই মেথির জন্য যথেষ্ট।
ক্যাপসিকামঃ যে কোনও রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারে ক্যাপসিকাম। সবুজ, লাল, হলুদ যে কোনও ক্যাপসিকাম গাছ ব্যালকনিতে দিব্যি বড় করতে পারেন। সঠিকভাবে মাটি, সার দিলে ফলন হবে ভাল।
পুদিনাঃ সতেজ এবং সুগন্ধযুক্ত চাটনি, পানীয় এমনকী সুস্বাদু খাবারের জন্য আদর্শ পুদিনা। এই গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং কোনও বাধা না পেলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোনও পাত্রে পুদিনা গাছ চাষ করলে খুব বেশি ছড়িয়ে যাবে না।
পালংশাকঃ বাড়িতে পালংশাকও সহজে চাষ করা যায়। গামলায় মাটি ফেলে ধনেপাতার মতো এই শাক দিব্যিও ফলন হতে পারে। খুব বেশি রোদ লাগে না। মাত্র এক মাসের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।
টমেটোঃ টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। খুব সহজে ছাদে বা ব্যালকনিতে ফলিয়ে নিতে পারেন টমেটো। টমেটোর বিভিন্ন প্রজাতি হয়। সেই অনুযায়ী স্বাদ এবং তার পরিচর্যাতেও পার্থক্য হয়। টমেটো উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণে সূর্য রশ্মির প্রয়োজন হয়।
