আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র তিন বছর বয়স। যে বয়সে একটি গোটা বাক্য ভেঙে ভেঙে উচ্চারণ করতে শেখে একটি শিশু। সেই বয়সেই জোর করে উপোস করানো হল তাকে। বাবা-মায়ের চাপে দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাল সে। উপোস করেই প্রাণ গেল টিউমার আক্রান্ত তিন বছরের শিশুকন্যার। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মৃত শিশুর বাবা পীযূষ জৈন পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। পীযূষ ও বর্ষা জৈনের একমাত্র সন্তান ছিল বিনয়া। ২০২৪ সালে ডিসেম্বর মাসে জানা যায়, বিনয়া ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। মুম্বইয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানো হয় তাকে। এমনকী অস্ত্রোপচার হয়। তা সত্বেও বিনয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল। 

 

মার্চ মাসের মধ্যে বিনয়ার বেঁচে থাকার আশাও ক্ষীণ হয়ে আসে। তখনই পুরোনো ধর্মীয় আচার পালনে বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন পীযূষ ও বর্ষা। তাঁদের ধারণা ছিল, উপোস করলেই ধর্মীয় রীতি মানলেই, বিনয়ার কঠিন অসুখ সেরে যাবে। ২১ মার্চ ইন্দোরে রাজেশ মুনি মহারাজের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। পীযূষ জানিয়েছেন, সেদিন গুরুজি জানান, বিনয়ার মৃত্যু ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে। তাই তাকে 'সান্থারা' পালন করার নির্দেশ দেন। 

 

'সান্থারা' জৈন ধর্মাবলম্বীদের শতাব্দী প্রাচীন এমন একটি রীতি, যেখানে মৃত্যু পর্যন্ত উপোস করানো হয়। বিনয়া জৈনদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ, যে সান্থারা ব্রত পালন করে। 'গোল্ডেন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে' নাম উঠেছে তার। পীযূষ সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ব্রত শেষ করার দশ মিনিট পরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে বিনয়া। গুরুজির আদেশেই খুদে সন্তানকে সান্থারা ব্রত করাতে রাজি হন তাঁরা।