আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আইএসএফ কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল ভাঙড়। টানা পাঁচ ঘন্টা অবরুদ্ধ বাসন্তী হাইওয়ে। জানা গিয়েছে, জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী কলকাতামুখী জনতাকে সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বাসন্তী হাইওয়ের প্রতিটি মোড়ে মোড়েই কার্যত বাধা পেতে হচ্ছে পুলিশের।
দীর্ঘ চেষ্টার পর এখনও পর্যন্ত বাসন্তী হাইওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারেনি পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনীর তরফে আইএসএফ কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও দুপুরের দিকে নতুন করে ফের উত্তেজনা ছড়ায় বাসন্তী হাইওয়ের বালিগাদা এলাকায়। রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে আইএসএফ কর্মীরা।
ফলে নতুন করে অবরুদ্ধ হয়ে পরে বাসন্তী হাইওয়ে। বৈরামপুরের পর উত্তেজনা ছড়ায় শোনপুরে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। উল্টে দেওয়া হয় প্রিজন ভ্যান। পুলিশের পাঁচটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় একাধিক পুলিশের গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে গাড়ি ছেড়ে দৌড় পুলিশ কর্মীদের।
আইএসএফের হামলায় অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে ফের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় শোনপুর বাজারে। প্রাণভয়ে এলাকার এক বাড়িতে লুকিয়ে পড়া পুলিশকর্মীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আইএসএফ কর্মীর রামলীলা ময়দানে আসছিলেন দলে দলে। সোমবার মিনাখাঁ, বাসন্তী, ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে আইএসএফ নেতা-কর্মীরা কলকাতা যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু বৈরামপুরে বাসন্তী হাইওয়েতেই তাঁদের আটকাতে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই এই ধরনের কোনও কর্মসূচি তাঁরা হতে দেবেন না।
