আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেকেআরের বোলারদের চোখে সর্ষেফুল দেখালেন মিচেল মার্শ এবং নিকোলাস পুরান। সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী, স্পেন্সর জনসন, হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরাদের পিটিয়ে ছাতু করে লখনউয়ের দুই ব্যাটার। মার্করাম, মার্শ, পুরানের ত্রয়ীতে রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। ২০ ওভারের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান ঋষভ পন্থের দলের। লখনউয়ের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। কয়েকদিন আগে ঘরের মাঠেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামায় কেকেআরের বোলাররা। কিন্তু এদিন নিকোলাস পুরানের ধ্বংশলীলার সামনে অসহায় দেখায় নাইট বোলারদের। ১৮তম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বিরুদ্ধে ২৪ রান নেন পুরান। ২১ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান ক্যারিবিয়ান তারকা। তারপর ঝড় তোলেন। দুপুরের ম্যাচে টসে জিতে কেন লখনউকে ব্যাট করতে পাঠান অজিঙ্ক রাহানে, সেটা বোধগম্য হল না। গরমের মধ্যে ফিল্ডিং না করে, বিপক্ষের ঘাড়ে বড় রান চাপিয়ে দিতে পারত নাইটরা। ইডেনে এত বড় রান তাড়া করে জেতা সহজ হবে না কেকেআরের। এদিনের ম্যাচের পর হয়তো আবার পিচ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে। ৩৬ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন পুরান। ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৮টি ছয়, ৭টি চার। হর্ষিত রানা জোড়া উইকেট নিলেও প্রচুর রান দেন।
টসে জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠান রাহানে। এদিন দলে ফেরেন স্পেন্সর জনসন। পাওয়ার প্লের শেষে বিনা উইকেট হারিয়ে লখনউয়ের রান ছিল ৫৯। পাওয়ার প্লেতেই বরুণ চক্রবর্তীকে আনতে বাধ্য হন কেকেআরের অধিনায়ক। কিন্তু লাভ হয়নি। ছয় ওভারের শেষে বল করতে এসেই মার্শের ছয়, চার হজম করতে হয় সুনীল নারিনকে। ইডেনে চলতি আইপিএলের সবচেয়ে বড় ছক্কা হাঁকান মার্শ। আগের দিন ক্রিকেটের নন্দনকাননে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দুরমুশ করে নাইটরা। সেদিন দুই ইনিংসের শুরুতেই পিচ থেকে কিছুটা সাহায্য পায় বোলাররা। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে ইডেনের পিচ পুরোই ব্যাটিং সহায়ক। বিন্দুমাত্র সাহায্য পায়নি বোলাররা।
প্রথম ওভার থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন মিচেল মার্শ এবং আইডেন মার্করাম। ওপেনিং জুটিতে ৯৯ রান। ১০.২ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় লখনউ। ২৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হন মার্করাম। ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ৪টি চার। তবে অর্ধশতরান হাতছাড়া করেননি মার্শ। ৩টি ছয় এবং ৪টি চারের সাহায্য ৩৬ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। শুরুটা কিছুটা মন্থর হলেও সেট হওয়ার পর ছয় এবং চারের বন্যা বইয়ে দেন। ৪৮ বলে ৮১ রান করে আউট হন। মারকুটে ইনিংসে ছিল ৫টি ছয়, ৬টি চার। পার্টনারশিপ ভাঙেন রাসেল। তবে পরের ওভারেই তাঁকে বেধড়ক পেটান পুরান। মঙ্গল বিকেলে ক্রিকেটের নন্দনকাননে পুরান শো। তবে মঞ্চ তৈরি করে দেন মার্শ-মার্করাম জুটি।
