আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপির গড় হিসেবে পরিচিত ফারাক্কা বিধানসভার অন্তর্গত বেনিয়াগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস-বিজেপি এবং সিপিএম দলে বড়সড় ভাঙন। 


শনিবার রাতে সাহানাগর এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের হাত ধরে বিজেপি এবং কংগ্রেস দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন কয়েকশো গ্রামবাসী সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা বাবলু ঘোষ, জেলা পরিষদ সদস্যা অন্জুমারা খাতুন একাধিক তৃণমূল নেতা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলে এই ভাঙন তৃণমূলকে সুবিধা করে দেবে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। 


ফরাক্কা বিধানসভা কেন্দ্র বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত গড় হিসেবে মুর্শিদাবাদ জেলায় পরিচিত। তবে ২০২১-র বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মনিরুল ইসলাম কংগ্রেসের মইনুল হককে হারিয়ে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথমবারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের খাতা খোলেন। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস খাতা খুলতে পারলেও বেনিয়াগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের শক্তি বরাবরই বেশি ছিল। 


শনিবার রাতে ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের হাত ধরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে যোগ দিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য রতন হালদার সহ প্রায় ৫০০ জন গ্রামবাসী। 
তৃণমূলে যোগদানকারী বাম-বিজেপি এবং কংগ্রেস সমর্থকরা বলেন, কংগ্রেস বিধায়কের আমলে ফরাক্কা বিধানসভা এলাকায় উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে গত পাঁচ বছরে ফরাক্কার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল উন্নয়ন হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফরাক্কায় আরও উন্নয়ন করার লক্ষ্যে তারা সকলে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলেন। 


পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য রতন হালদার বলেন,"কংগ্রেস দলের সঙ্গে থেকে ফরাক্কা বিধানসভার বেনিয়াগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তিনি কোনও উন্নয়ন করতে পারছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নমূলক কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।"


বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে তৃণমূলে স্বাগত জানিয়ে বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, এই এলাকা এক সময় বিজেপির 'গড়' হিসেবে পরিচিত ছিল। রতন হালদারের নেতৃত্বে কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে কয়েকশো মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় বেনিয়াগ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের শক্তি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও বাড়ল। 


তিনি আরও জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজ দেখে সকলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছে। যারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তাদের সকলকে দলে যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি রতন হালদারকে দলের অঞ্চলের কোর কমিটি'তে জায়গা করে দেওয়া হবে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নিয়ম-নীতি মেনে এলাকার সকলের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।