আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইনজুরি টাইমে জাভি হার্নান্দেজের গোলে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ড্র হওয়া ম্যাচ হারতে হল মোহনবাগানকে। ২-১ গোলে জামশেদপুরে হারায় এবার কলকাতায় কামব্যাকের আশায় নামবেন কামিংসরা। এদিন ‘দ্য ফার্নেসে’ শুরুতে গোল খেয়েও জেসন কামিংসের চোখ ধাঁধানো ফ্রি কিকে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে সমতা ফিরিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তবে ৯০ মিনিট ধরে অনেক বেশি তরতাজা দেখিয়েছে খালিদ জামিলের দলকে। প্রথম দিকে ঝিমিয়ে থাকলেও কামিংসের গোলে সমতা ফেরানোর পর খেলায় ফিরেছিল বাগান। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে ফিনিশ করতে পারেননি সবুজ মেরুনের ফরোয়ার্ডরা। 

 

বরং, বলা ভাল প্রণয় হালদার, আশুতোষ মেহতা, স্টিফেন এজেরা আটকে দিলেন লিস্টন, সাহাল, স্টুয়ার্টদের। এদিন চোটের কারণে দলে ছিলেন না মনবীর, আপুইয়া। মলিনা প্রথম একাদশে রাখেননি ম্যাকলারেনকেও। গ্রেগ স্টুয়ার্ট এবং জেসন কামিংস শুরু করেন। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল জামশেদপুর। তবে বক্সে এসে তারা আটকে যাচ্ছিল টম, আলবার্তোদের কাছে। গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি হোম টিমকে। প্রথম কোয়ার্টারেই স্টিফেন এজের হেড ধরে নেন বিশাল। ২১ মিনিটের মাথায় ফের স্টিফেন এজের হেড থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন দ্বিতীয় পোস্টে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা সিভেরিও।

 

কোনও ডিফেন্ডারই গার্ড করেনি তাঁকে। বিশাল এগিয়ে এসেও বল ধরতে পারেননি। গোল খেয়ে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন লিস্টনরা। অপেক্ষার অবসান হয় ৩৭ মিনিটে। আশুতোষ মেহতার থেকে বল ছিনিয়ে গোলের দিকে দৌড়াচ্ছিলেন কামিংস। পিছন থেকে টেনে ধরায় রেফারি ফাউল দেন। বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে কামিংসের দুর্দান্ত ফ্রি কিক। জামশেদপুর কিপার অ্যালবিনো গোমসের কিছু করার ছিল না।

 

দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকবার সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের কাছে। থাপার পাস থেকে সামনে গোলকিপারকে একা পেয়েও হাতে মারেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। একসময় মনে হচ্ছিল জামশেদপুরে ড্র করে কলকাতায় নামবে দুই দল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফল বদলে দেন জাভি। বাঁদিক থেকে উঠে আসা ঋত্বিক দাসের পাস থেকে গোলার মতো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন জাভি। বিশাল কাইথের কিছু করার ছিল না। সোমবার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে যুবভারতীতে নামবেন ম্যাকলারেনরা।