আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভার্সিটি। শনিবার সেখানে পরীক্ষা চলছিল। স্থানীয় সময় বিকেল নাগাদ, পরীক্ষা চলার সময়, আচমকাই কালো পোশাক পরিহিত একজন এলোপাথাড়ি গুলি চালান। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, একাধিক স্থানীয় এবং সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু'জন পড়ুয়ার, ঘটনাস্থলেই। আহত অন্তত আট। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর তথ্য, গুলি চালানোর তিন ঘণ্টা পর পর্যন্ত, পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজ চালায়।

 স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক ওই যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ঢুকে হামলা চালান। সেখানকার পড়ুয়ারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, স্রেফ বিকট শব্দ শুনে, কোনওদিকে না তাকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে চলে যান। অনেকেই ঘটনার আকস্মিকতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সাময়িকভাবে। 

ফক্স নিউজ-এ এক মহিলা জানিয়েছেন, তিনি আচমকা তাঁর ছেলের কাছ থেকে একটি মেসেজ পান। তাতে কার্যত তাঁর শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, ওই মেসেজে তাঁর ছেলে জানিয়েছিলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ ঢুকে পড়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে। আমি পালাচ্ছি। দৌড়াচ্ছি প্রাণ বাঁচানোর জন্য।' বার্তা দিয়ে মা'কে শেষে ওই যুবক ভালবাসার কথা জানিয়ে লিখেছিলেন, 'লাভ ইউ।' স্বাভাবিকভাবেই তারপর থেকে প্রতিটা মুহূর্ত উত্তেজনায় কাটে মহিলার। পরিস্থিতি বিচারে ছেলেকে তিনি বারবার ফোনও করতে পারেননি। গুলি চলার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ফোন সাইলেন্ট রেখে, সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। 

প্রথম সতর্কতায়, বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, ঘাতক যুবক বারুস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের  কাছে রয়েছেন। পড়ুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়, ফোন সাইলেন্ট করে, দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকার। কেউ ঘটনাস্থলের কাছে থাকলে, তাঁকে দৌড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। 

ঘটনা প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের মতামত সামনে রেখেছেন ইতিমধ্যেই। এফবিআই ডিরেক্টর কাশ প্যাটেল, এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছেন,সংস্থার কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। সঙ্গেই জানান, 'দয়া করে জড়িত সকলের জন্য প্রার্থনা করুন। আমরা যতটা সম্ভব আরও তথ্য আপডেট করব।' বন্দুকবাজ যুবক ওই বিশবিদ্যালয়েরই পড়ুয়া ছিলেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। কয়েকঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও, তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ ওই ঘাতক যুবকের কোনও তথ্য পায়নি বলেই জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য, জখম আটজনের অবস্থা গুরুতর হলেও, স্থিতিশীল। তাঁরা সকলেই চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন।