আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের পর থেকে বিশ্বে চাকরির বাজার কেমন হবে তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এটি প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। বিশ্বের বাজারে নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল রেখে চাকরির বাজারেও নতুন করে পরিবর্তন আসতে বাধ্য। সেদিক থেকে দেখতে হলে ২০২৫ থেকে শুরু করে ২০৩০ সালে প্রচুর প্রযুক্তিনির্ভর চাকরি তৈরি হবে।
বিশ্বের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি এটা মনে করছে তাদের ব্যবসাকে আগামীদিনে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রচুর প্রতিযোগিতার সামনে পড়তে হবে। ফলে সেখান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে তাদের সরাসরি যুদ্ধে নামতে হবে। তাই কাজের জায়গায় যদি সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করা হয় তাহলে তারা অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়বে। অন্যদিকে যদি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সঠিক বয়স এবং দক্ষ কর্মী না থাকে তাহলেও প্রতিযোগিতার বাজার থেকে ছিটকে যেতে হবে।
বিশ্বের সেরা ১ হাজারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকেই উঠে এসেছে নানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে প্রযুক্তিগতভাবে যদি উন্নত করতে হয় তাহলে সেখানে প্রতিষ্ঠানগুলির বাড়তি খরচ হবে। সেখানে দক্ষ শ্রমিক এবং কাজের মেয়াদ আগামীদিনে বাড়তে পারে। খুব কম সময়ে বেশি করানোর প্রবণতা থাকবে সব প্রতিষ্ঠানেই। এর এখানেই সবথেকে বড় ভূমিকা নিতে পারে এআই।
রিপোর্ট থেকে দেখা গিয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে মোট ১৭০ মিলিয়ন নতুন কাজ তৈরি হবে। এখানেই শেষ নয় আরও ৯২ মিলিয়র চাকরির জায়গা খালি হয়ে যাবে। ফলে সেখানেও নতুন চাকরির সম্ভাবনা তৈরি হবে। কোন ধরণের কাজের বাজার বেশি হবে তারও একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে বিগ ডাটা স্পেশালিস্ট, ফিনটেক ইঞ্জিনিয়ার, এআই অ্যান্ড মেশিন লার্নিং স্পেশালিস্ট, সফটওয়ার অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্টের মতো কাজের চাহিদা আগামী ৫ বছরে অনেক বেশি থাকবে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের কাজের চাপ এবং কর্মীসংখ্যা কমাতে অনেক বেশি এআই নির্ভর হয়ে পড়বে। ফলে সেখানে চাকরির বাজার কিছুটা হলেও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, ডিজিটাল টেকনোলজি প্রতিটি ব্যবসাকে উন্নত করতে অনেকটাই সাহায্য করবে। তাই এদের সম্পর্কে যদি সঠিক ধারণা না থাকে তাহলে সেখানে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন দেশের পোস্টাল সার্ভিস, ব্যাঙ্কের কাজ, ডাটা এন্ট্রি ক্লার্ক, ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার, টিকিট ক্লার্ক এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে আরও বেশি করে এআইকে ব্যবহার করা হবে। তাই এখন থেকেই নিজেকে তৈরি করতে হবে।
