আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ত্বকের যত্নের অবহেলায় ত্বকে একটু বলিরেখা পড়লেও মনখারাপ হয়ে যায়। ঝকঝকে উজ্জ্বল ত্বক চাই, অথচ  কম সময়ও লাগবে।এমন উপায়ের কথা জানা আছে কী? সমাধান হবে এক নিমিষেই। একটি উপাদান যা আপনার ত্বকের সব ধরনের সমস্যায় ব্রম্রাস্ত্র  হিসেবে কাজ করবে। কোরিয়ানদের সৌন্দর্যের আসল রহস্য এই ক্রিমেই। ত্বককে সুন্দর ও ঝলমলে করে তুলতে কে না চায়। ঝকঝকে, কাচের মতো ত্বক পেতে কোরিয়ানদের রূপচর্চার রুটিন অনুসরণ করতে পারেন। বাড়িতে মজুত সস্তার কিছু জিনিস দিয়ে হাজার টাকা বাঁচান এই নাইট ক্রিম তৈরি করে‌। কীভাবে বানাবেন এই ক্রিম জেনে নিন।

৪-৫টি আমন্ড বাদামকে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাদামগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়ে মিশ্রণটি ঢেলে নিংড়ে রস বের করে নিন। একটি গোলাপ ফুলের পাপড়িগুলোকে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। পরিষ্কার হয়ে গেলে থেঁতো করে নিন। কাপড়ে দিয়ে পাপড়ির রস 
বের করে নিন। বাদামের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে এক চামচ গোলাপ জল ও দু'চামচ অ্যালোভেরা জেল দিন। সম্পূর্ণ পেষ্টটি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে পেষ্টের আকারে তৈরি করে নিন। একটি এয়ারটাইট কন্টেনারে ভরে রাখুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ক্রিম মুখে মেখে দু'মিনিট ম্যাসাজ করুন। আপনার ত্বকের শ্যামলা ভাব চলে গিয়ে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে রাতারাতি। মাত্র সাতদিনেই আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

আমন্ডে ভিটামিন ই-এর সন্ধান মেলে। যেটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। তাই আমন্ডের গুণে ত্বকের অন্দরে ফ্রি ব়্যাডিকালস ধ্বংস হয় এবং একাধিক সমস্যাই চলে আসে নিয়ন্ত্রণে। ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে ত্বকের মসৃণভাবও বজায় রাখে। ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখা, সিবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করে গোলাপের পাপড়ি।