বুধবার ১৮ জুন ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

দেশ | গণতন্ত্র রক্ষায় সফল ভারত, কেন পারছে না বাংলাদেশ?

RD | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩ : ০৬Rajit Das


স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার করেছে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স ৫০ বছর। বহু ভারতীয়র প্রশ্ন, গণতন্ত্র ধরে রাখতে ভারত সফল হলেও কেন পারছে না তার পড়শি দেশটি? কেন বারে বারে বাংলাভাষী এই রাষ্ট্রে সামরিক শাসন জারি করতে হয়? 

ঔপনিবেশিক শাসন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর ভারত পরিচালনায় তার কোনও কুপ্রভাব তেমনভাবে পড়েনি। তর্কের খাতিয়ে যদি ধরে নেওয়া হয় যে, বহু জাতি, ভাষা এবং সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় সমাজে গণতন্ত্রের যেকোনও ধরনই আগোছালো- তবে ভারতীয়দের বাহবা দিতেই হবে। 

ডজন ডজন বিষয়ের প্রকেষিতে এই তুলনা চলে। তবে প্রশ্ন, আমরা কি এখানে কমলার সঙ্গে আপেলের তুলনা করছি? যদি তাই হয়, তাহলে ফলাফল হতে পারে যে কমলা ভালো। কিন্তু এভাবে বেশিরভাগ সংবেদনশীল তুলনাই দুর্বলতা দোষে দুষ্ট। পদ্ধতির ত্রুটির কারণেই এক্ষেত্রে, বাংলাদেশকে খুব খারাপ আলোতে দেখা হবে। যাই হোক না কেন, আমরা যদি আমাদের পদ্ধতিগত অস্বস্তিকে মুহুর্তের জন্য একপাশে রেখে তুলনাটি ফের দেখি, তাহলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে নিম্নলিখিতগুলি বিবেচনা করতে পারি। 
 
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগের সময়, বৃহত্তম উত্তরসূরি দেশ হিসাবে ভারত বেশিরভাগ বেসামরিক পরিকাঠামো এবং সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ সেভাবে এই ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ছিল না। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং সম্পদের দিক থেকেও, ভারতের সুবিধা ছিল, যার ফলশ্রুতিতে ভারত তার নেহেরু পরিচালিত নীতির মাধ্যমে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি করতে পেরেছিল। নবগঠিত ভারত এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির আকাঙ্খা পূরণে কর্মসংস্থান দিতে সক্ষম হয়েছিল। শিল্প, রেল, উদীয়মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং পরে ক্রমবর্ধমান বাজার-চালিত কর্পোরেট বিশ্বে ভারতীয়দের কর্মসংস্থান আশীর্বাদস্বরূপ।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল- হিন্দুরা প্রতিযোগিতার বাজার থেকে সরে দাঁড়াবে বলে যেসব মুসলিম অভিজাতরা ভারত থেকে তৎকালীন পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁরা দ্রুত জানতে পেরেছিলেন যে- এইসব নয়া দেশে সামরিক বাহিনী ছাড়া রাষ্ট্রে শ্রেণী অগ্রগতির বহু পথ রুদ্ধ। শিল্প বিকাশের দুর্বলতা, পেশায় বৈচিত্র্যের অভাব এবং পণ্য ও পরিষেবার পরিকাঠামো তৈরির চেয়ে আমদানিতে বেশি আগ্রহী ছিল রাষ্ট্র নেতৃত্ব। ফলস্বরূপ, সামরিক বাহিনী সেসব দেশের অভিজাত স্বার্থের একমাত্র স্বার্থবহনকারী হয়ে ওঠে। এই কারণেই সামরিক প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিকভাবে অভিজাতদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। আমরা যদি স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রগুলির প্রকৃতি বিবেচনা করি তবে এটি আরও স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের উত্তরাধিকারী, এছাড়াও পাকিস্তানি দমন-পীড়নের উত্তরাধিকারী। ফলে জন্মগতভাবেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিরোধী হওয়ার দিকে এগিয়েছে।

বিপরীতে, আগেই সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতীয় অভিজাত এবং মধ্যবিত্তদের শ্রেণীস্বার্থ প্রকাশের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হয় না। অপর্যাপ্ত হলেও সুযোগের আধিক্য মধ্যবিত্তদের জন্য বিভিন্ন পেশা এবং বৃত্তির বিভিন্ন দিক অন্বেষণে কার্যকর হয়েছে। ভারতীয়রা আশাহত হননি। রাজনৈতিক প্রশাসনের প্রতি সামরিক বাহিনীর অধীনতা (বেশ কিছু দুর্বলতা সত্ত্বেও) একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভারতীয় নেতাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে ভাষা, ধর্ম, বর্ণের পার্থক্য সত্ত্বেও সংসদীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশাল বৈচিত্র্যকে একসুতোয় বাঁধার রাজনৈতিক ক্ষমতা কায়েম হয়েছে। বহু ভাষা, শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণের স্তরবিন্যাস ভারতীয় গণতন্ত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই দ্রুত একবার আফ্রিকা মহাদেশের দিকে তাকানো যাক। দেশগুলি দীর্ঘ ঔপনিবেশিক দমন-পীড়ন থেকে শক্তিশালী ঔপনিবেশিক বিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিল। সেসব দেশের সংগ্রামের দরুন একাধিক ক্যারিশম্যাটিক নেতা বিশ্ব-দরবারে পরিচিতি পেয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে ছিল জনসমর্থন। কিন্তু তাঁরাই শেষ পর্যন্ত শাসন ব্যবস্থাকে স্বৈরাচারে পরিণত করেছিল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের লাভকে অস্বীকার করেছিল। অতএব আমরা এই উপসংহারে পৌঁছাতে পারি যে, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড ভারতের সঙ্গে তুলনীয় নয়। তবে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে উদ্ভূত বিশ্বের অন্যান্য অংশের দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে তা হবে ন্যায্য। 

উপমহাদেশ আমাদের সকলের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শিক্ষা। রাজনৈতিক অভিজাতরা রক্ষণশীলতাকে ভিত্তি করে প্রচোলিত ব্যবস্থাকে রক্ষার চেষ্টা চালাবে। এইভাবে স্থিতিশীলতা বজায়ের চেষ্টা চলবে। এক্ষেত্রে ধর্মই হবে সেরা কৌশল। তবে,সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ভালোভাবে পরিচালিত হলে অর্থনীতি ও সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় ক্ষমতা আছে। প্রকৃত বিপদসমুহ যেমন- কর্মসংস্থান, খাদ্য, আশ্রয় এবং সুযোগের অভাব থাকলেও ভিন্নমতকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যেই জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং গণতন্ত্রকে ভেঙে ফেলার সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্রকে খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের দুর্দশা সাম্প্রদায়িক অবস্থানের কারণে। আমরা যদি সতর্ক না হই তবে এই অবস্থা আমাদেরও হতে পারে। সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার মড়ক আমাদের আঁকড়ে ধরলে ঘোর বিপদ। কারণ আমরা কখনই যেন ভুলে না যাই যে, সার্বভৌমত্ব আমাদের আলাদা করেছে, কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।

(লেখক পরিচিতি- শ্রী সুরজিৎ সি মুখোপাধ্যায়, ডিন - স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্স, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি)

 


BangladeshUnrestBangladeshIndiaIndianDemocracyLookback2024

নানান খবর

মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ডাক্তার, শেষকৃত্যের আগেই ঘটল অবাক কাণ্ড, থানেতে শোরগোল

রাজ্যে রাজ্যে গাঁজা পাচার, অবশেষে রাজস্থানে গ্রেপ্তার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ধরমবীর

দুঃসময় কাটছে না বোয়িং ড্রিমলাইনারের, একদিনে বাতিল এয়ার ইন্ডিয়ার সাতটি উড়ান

'সার কিনে দাও', স্ত্রীর আবদার মেটাতেই সাড়ে সর্বনাশ স্বামীর, বিয়ের ৩৬ দিন পর ভয়ঙ্কর ঘটনা

খেলার ছুঁতোয় বোনের ঘরে, দরজা বন্ধ করে দাদা যা করল, শিউরে উঠল গোটা পরিবার 

ভারতের কাছে সুযোগ ছিল পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটি ধ্বংস করার, ‘ঐতিহাসক ভুল’ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী: হিমন্ত

প্রথমে ডাকাতি পরে ছুরি দিয়ে খুন! দিল্লিতে গ্রেপ্তার তিন নাবালক 

ভারতের কোন কোন রাজ্যে মুসলমানদের বসবাসের হার বেশি? দেখুন তালিকা

পুরনো মসজিদ ভাঙতে গিয়েই আচমকা ঘটল ভয়াবহ ঘটনা, আহত ১০ বছরের বালক সহ আরও ৩

শ্মশানেই বসল বিয়ের মণ্ডপ, কী এমন হল উত্তরপ্রদেশে, সত্যিটা জানলে আপনার চোখে জল আসবে

ভুয়ো মায়ের জাল মৃত্যু সংশাপত্র দিয়ে স্কুলে চাকরি! বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ভয়ঙ্কর নিয়োগ কেলেঙ্কারি

পুলিশি এনকাউন্টারে কুখ্যাত অপরাধীর মৃত্যু

পুনেতে সেতু ভেঙে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৩২

ট্রাকের পেছনে 'আওয়াজ দো' লেখা থাকে কেন জানেন? জানলে বিস্মিত হবেন আপনিও 

নবজাতক শিশু ও মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু! পালাতে গিয়ে ধরা পড়ল অভিযুক্ত ডাক্তার

গরমের দাবদাহ থেকে শীঘ্র রেহাই, ঝাড়খণ্ডে অবশেষে বর্ষা 

ইংল্যান্ডকে বিশেষ মন্ত্র, একজন ব্যাটারকে টার্গেট করার পরামর্শ প্রাক্তন তারকার

অবিরাম বৃষ্টি গোটা বাংলায়, বর্ষার শুরুতেই অতি ভারী বর্ষণের দাপট, আজ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় লাল সতর্কতা

শুক্রের মালব্য রাজযোগে ৫ রাশির চোখ ধাঁধানো উন্নতি! অঢেল টাকায় ভরবে পকেট, অর্থলাভে কপাল খুলবে কাদের?

'অদ্ভুত মানসিকতা', ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়

‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ কি বাতিলের পথে? কেন বন্ধ হল অক্ষয়ের এই ছবির শুটিং?

‘যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে’, ট্রাম্পের ‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ’-এর হুঁশিয়ারির পরেই বার্তা খামেনেইয়ের

বাদ কুলদীপ, প্রথম টেস্টের আগে পছন্দের দল বেছে নিলেন শাস্ত্রী

এক বোতলের দাম ৫২ কোটি টাকা! জানেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি মদের নাম?

‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ’, কেন নিজের পোস্টে লিখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, বাড়ছে জল্পনা

কোহলির পরিবর্ত বেছে নিলেন প্রাক্তন নির্বাচক, তালিকায় নেই গিল-সুদর্শন

অবিশ্বাস্য বোলিং আইপিএলের বিতর্কিত বোলার দিগ্বেশের, লখনউয়ের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার পোস্ট ভাইরাল

বোকা জুনিয়র্সের বিরুদ্ধে গোল করে কি ক্ষমা চাইলেন মারিয়া? ভুল ভাঙালেন আর্জেন্টাইন তারকা, কী বললেন তিনি?

'শান্তির জন্য খেলছি', ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে ট্রাম্পকে বিশেষ জার্সি রোনাল্ডোর

টেস্ট সিরিজের আগে লন্ডনে হাজির ভারতের টি-২০ অধিনায়ক, বাড়ছে ধোঁয়াশা

লাল কার্ড বের করতে গিয়ে ঈশ্বরের ছবি দেখালেন রেফারি, ক্লাব বিশ্বকাপে অবাক করার মতো ঘটনা

টাক পড়ে একাকার? এই ঘরোয়া তেলের জাদুতেই চিরতরে পিছু ছাড়বে চুল পড়ার সমস্যা, দ্রুত গজাবে নতুন চুল

'আমি রক্তও দিতে পারি', টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে খুল্লমখুল্লা রাবাদা

উঠল ফিফার ট্রান্সফার ব্যান, ফুটবলার সই করাতে বাধা নেই মোহনবাগানের

কসবায় একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

কে জিতলেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ? বাভুমা নাকি জয় শাহ? আইসিসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে হাসিমস্করা

শহরে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

চাহালকে নিয়ে ধাওয়ানের রহস্যময় পোস্ট, ধোঁয়াশা ফ্যানদের মধ্যে

৬ বছর পর ফের বিশ্বসেরা মন্ধনা, ফিরে পেলেন একনম্বর ব্যাটারের তাজ

একেবারে নির্মূল হবে পার্কিনসন্স! স্নায়ুর রোগে নতুন আশার আলো দেখালেন জাপানের চিকিৎসকেরা

সোশ্যাল মিডিয়া