বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
RD | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩ : ০৬Rajit Das
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার করেছে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স ৫০ বছর। বহু ভারতীয়র প্রশ্ন, গণতন্ত্র ধরে রাখতে ভারত সফল হলেও কেন পারছে না তার পড়শি দেশটি? কেন বারে বারে বাংলাভাষী এই রাষ্ট্রে সামরিক শাসন জারি করতে হয়?
ঔপনিবেশিক শাসন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর ভারত পরিচালনায় তার কোনও কুপ্রভাব তেমনভাবে পড়েনি। তর্কের খাতিয়ে যদি ধরে নেওয়া হয় যে, বহু জাতি, ভাষা এবং সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় সমাজে গণতন্ত্রের যেকোনও ধরনই আগোছালো- তবে ভারতীয়দের বাহবা দিতেই হবে।
ডজন ডজন বিষয়ের প্রকেষিতে এই তুলনা চলে। তবে প্রশ্ন, আমরা কি এখানে কমলার সঙ্গে আপেলের তুলনা করছি? যদি তাই হয়, তাহলে ফলাফল হতে পারে যে কমলা ভালো। কিন্তু এভাবে বেশিরভাগ সংবেদনশীল তুলনাই দুর্বলতা দোষে দুষ্ট। পদ্ধতির ত্রুটির কারণেই এক্ষেত্রে, বাংলাদেশকে খুব খারাপ আলোতে দেখা হবে। যাই হোক না কেন, আমরা যদি আমাদের পদ্ধতিগত অস্বস্তিকে মুহুর্তের জন্য একপাশে রেখে তুলনাটি ফের দেখি, তাহলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে নিম্নলিখিতগুলি বিবেচনা করতে পারি।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগের সময়, বৃহত্তম উত্তরসূরি দেশ হিসাবে ভারত বেশিরভাগ বেসামরিক পরিকাঠামো এবং সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ সেভাবে এই ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ছিল না। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং সম্পদের দিক থেকেও, ভারতের সুবিধা ছিল, যার ফলশ্রুতিতে ভারত তার নেহেরু পরিচালিত নীতির মাধ্যমে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি করতে পেরেছিল। নবগঠিত ভারত এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির আকাঙ্খা পূরণে কর্মসংস্থান দিতে সক্ষম হয়েছিল। শিল্প, রেল, উদীয়মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং পরে ক্রমবর্ধমান বাজার-চালিত কর্পোরেট বিশ্বে ভারতীয়দের কর্মসংস্থান আশীর্বাদস্বরূপ।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল- হিন্দুরা প্রতিযোগিতার বাজার থেকে সরে দাঁড়াবে বলে যেসব মুসলিম অভিজাতরা ভারত থেকে তৎকালীন পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁরা দ্রুত জানতে পেরেছিলেন যে- এইসব নয়া দেশে সামরিক বাহিনী ছাড়া রাষ্ট্রে শ্রেণী অগ্রগতির বহু পথ রুদ্ধ। শিল্প বিকাশের দুর্বলতা, পেশায় বৈচিত্র্যের অভাব এবং পণ্য ও পরিষেবার পরিকাঠামো তৈরির চেয়ে আমদানিতে বেশি আগ্রহী ছিল রাষ্ট্র নেতৃত্ব। ফলস্বরূপ, সামরিক বাহিনী সেসব দেশের অভিজাত স্বার্থের একমাত্র স্বার্থবহনকারী হয়ে ওঠে। এই কারণেই সামরিক প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিকভাবে অভিজাতদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। আমরা যদি স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রগুলির প্রকৃতি বিবেচনা করি তবে এটি আরও স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের উত্তরাধিকারী, এছাড়াও পাকিস্তানি দমন-পীড়নের উত্তরাধিকারী। ফলে জন্মগতভাবেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিরোধী হওয়ার দিকে এগিয়েছে।
বিপরীতে, আগেই সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতীয় অভিজাত এবং মধ্যবিত্তদের শ্রেণীস্বার্থ প্রকাশের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হয় না। অপর্যাপ্ত হলেও সুযোগের আধিক্য মধ্যবিত্তদের জন্য বিভিন্ন পেশা এবং বৃত্তির বিভিন্ন দিক অন্বেষণে কার্যকর হয়েছে। ভারতীয়রা আশাহত হননি। রাজনৈতিক প্রশাসনের প্রতি সামরিক বাহিনীর অধীনতা (বেশ কিছু দুর্বলতা সত্ত্বেও) একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভারতীয় নেতাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে ভাষা, ধর্ম, বর্ণের পার্থক্য সত্ত্বেও সংসদীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশাল বৈচিত্র্যকে একসুতোয় বাঁধার রাজনৈতিক ক্ষমতা কায়েম হয়েছে। বহু ভাষা, শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণের স্তরবিন্যাস ভারতীয় গণতন্ত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই দ্রুত একবার আফ্রিকা মহাদেশের দিকে তাকানো যাক। দেশগুলি দীর্ঘ ঔপনিবেশিক দমন-পীড়ন থেকে শক্তিশালী ঔপনিবেশিক বিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিল। সেসব দেশের সংগ্রামের দরুন একাধিক ক্যারিশম্যাটিক নেতা বিশ্ব-দরবারে পরিচিতি পেয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে ছিল জনসমর্থন। কিন্তু তাঁরাই শেষ পর্যন্ত শাসন ব্যবস্থাকে স্বৈরাচারে পরিণত করেছিল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের লাভকে অস্বীকার করেছিল। অতএব আমরা এই উপসংহারে পৌঁছাতে পারি যে, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড ভারতের সঙ্গে তুলনীয় নয়। তবে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে উদ্ভূত বিশ্বের অন্যান্য অংশের দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে তা হবে ন্যায্য।
উপমহাদেশ আমাদের সকলের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শিক্ষা। রাজনৈতিক অভিজাতরা রক্ষণশীলতাকে ভিত্তি করে প্রচোলিত ব্যবস্থাকে রক্ষার চেষ্টা চালাবে। এইভাবে স্থিতিশীলতা বজায়ের চেষ্টা চলবে। এক্ষেত্রে ধর্মই হবে সেরা কৌশল। তবে,সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ভালোভাবে পরিচালিত হলে অর্থনীতি ও সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় ক্ষমতা আছে। প্রকৃত বিপদসমুহ যেমন- কর্মসংস্থান, খাদ্য, আশ্রয় এবং সুযোগের অভাব থাকলেও ভিন্নমতকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যেই জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং গণতন্ত্রকে ভেঙে ফেলার সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্রকে খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের দুর্দশা সাম্প্রদায়িক অবস্থানের কারণে। আমরা যদি সতর্ক না হই তবে এই অবস্থা আমাদেরও হতে পারে। সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার মড়ক আমাদের আঁকড়ে ধরলে ঘোর বিপদ। কারণ আমরা কখনই যেন ভুলে না যাই যে, সার্বভৌমত্ব আমাদের আলাদা করেছে, কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।
(লেখক পরিচিতি- শ্রী সুরজিৎ সি মুখোপাধ্যায়, ডিন - স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্স, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি)
নানান খবর

সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান, নতুন ভিডিও নিয়ে চাঞ্চল্য তুঙ্গে

যোগীরাজ্যের রক্ষকই ভক্ষক! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, অপমানে নিজেকেই শেষ করল নাবালিকা

দু'বার কামড়ালেই যাবজ্জীবন! পথকুকুরদের শায়েস্তা করতে কড়া নিয়ম জারি উত্তরপ্রদেশ সরকারের

কাদায় ভরা রাস্তা, এল না অ্যাম্বুল্যান্স, মাঝ রাস্তায় সন্তান প্রসব তরুণীর, এই রাজ্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা

বিমানে আয়েস করে বসেই সিগারেটে সুখটান! আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভাইরাল বছর তিনেক আগের ভিডিও, কেন জানেন?

১ টাকায় ১০৫০ একর জমি আদানি গোষ্ঠীকে? বিহারে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেসের

সারা দেহে ৪০ হাজার মৌমাছি বসে আছে, অথচ হুল ফোটাচ্ছে না! মধুকরদের 'বশ' করে বিশ্বকে চমকে দিলেন রাজেন্দ্র

এসি কামরায় দেদার ধূমপান! প্রতিবাদ করতেই মহিলা যা করলেন, ছিঃ ছিঃ পড়ল নেটপাড়ায়

মণ্ডপে অন্য বর! ছবি মিলিয়ে পর্দাফাঁস, শেষ মুহূর্তে বিয়ে ভাঙল কনেপক্ষ

'চলো বিয়ে করে নিই', প্রেমিককে রাজি করাতে ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি, প্রেমিকাকে মেরে গাড়িতে ভরে দিলেন শিক্ষক

এক ভুলে নষ্ট হতে পারে জঙ্গল ট্রিপ! সাফারিতে কী পরবেন, কখন যাবেন, সঙ্গে কী নেবেন? রইল খুঁটিনাটি

পুরনো স্কুল বাসকেই বাড়ি বানিয়ে ভিতরে এ কী করলেন দম্পতি! কাণ্ড দেখে স্তব্ধ নেটদুনিয়া

আপনার হোম লোন করে দেবে ‘এআই’, কীভাবে

চিকিৎসা থেকে ছবি নির্মাণ! বিদেশের মাটিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল বাঙালি চিকিৎসক দম্পতির প্রথম ছবি

নার্সের ট্রাউজার নামানো হাঁটুর নিচে, চিকিৎসক ব্যস্ত... অপারেশন থিয়েটারে যৌনতায় লিপ্ত চিকিৎসককে ফের পুনর্বহাল!

এশিয়া কাপ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই, এবার নয়া সতর্কবার্তা সূর্যকুমারের

ওমান ম্যাচে বিশ্রামে বুমরা? আর কী কী বদল হতে পারে প্রথম একাদশে জানুন

প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করা এক প্যাকেট সিগারেট খাওয়ার সমান! ফুসফুসের ক্ষতির ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা গবেষণায়

সলমন মারধর করতেন? নাকি অন্য কারণ? কেন সুপারস্টার প্রেমিককে ত্যাগ করেন ঐশ্বর্য, এত বছর পর রহস্য ফাঁস

বিশ্বের কোন দেশ অস্ত্র রপ্তানিতে সবার আগে, তালিকা দেখলে চোখ কপালে উঠবেই

বাথরুমের আলো নিভিয়ে শাওয়ারের তলায় রোজ রাতে এই একটি কাজ করুন, টেনশন গলে জল হয়ে যাবে

ছাত্রীর বস্তাবন্দি পচা গলা দেহ উদ্ধার! রামপুরহাটে হাড়হিম ঘটনা, অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক গ্রেপ্তার

গোটা ফুটবল টিমটাই না কি ‘ভুয়ো’, জাপান থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হল ২২ পাকিস্তানি ‘খেলোয়াড়’কে

ভেস্তে যাবে ঘুড়ি ওড়ানোর পরিকল্পনা! ২ ঘণ্টায় জেলায় জেলায় প্রবল বৃষ্টি, কমলা সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস

শৌচাগারেও সঙ্গী মোবাইল? কমোডে বসে রিলস দেখতে গিয়ে ডেকে আনছেন ভয়ঙ্কর বিপদ!

নাগা চৈতন্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কাজ হারাচ্ছেন সামান্থা! অভিনেত্রীর বন্ধুর 'বিস্ফোরক' মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে

এবার বিসিসিআইয়ের জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে আসতে চলেছেন দেশের এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার, তারা কারা জানুন

সোনার সাগর! তবে এই সম্পদ আপনি বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন না, কেন

হ্যান্ডশেক বিতর্কের পর একই মাঠে ভারত-পাকিস্তান, তারপর যা ঘটল

হলদে প্রস্রাবে সাদা ফেনা? এক্ষুনি যান চিকিৎসকের কাছে, সর্বনাশ থেকে বাঁচতে মূত্রের রং দেখে রোগ চিনুন

গোল করলেন, করালেনও! মেসি ফিরতেই সিয়াটলকে হারিয়ে বদলা নিল ইন্টার মায়ামি

হলিউড সুন্দরীকে ৫৩০ কোটির প্রস্তাব বলিউডের! আহত ভিকির রক্ষাকবচ হয়ে কী করলেন অঙ্কিতা, রইল বিনোদন দুনিয়ার হালহকিকত

নিছক ভুলে যাওয়া নাকি ডিমেনশিয়ার বিপদ, লক্ষণ দেখে কীভাবে বুঝবেন? কোন উপায়ে দূরে রাখবেন মস্তিষ্কের রোগ?

টানা তিনটি অলিম্পিকে জিতেছিলেন ১০০ মিটারে সোনা, সেই বোল্টই এখন সিঁড়ি ভাঙতে পারছেন না!