আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রোটিয়াদের দেশে জয় দিয়ে শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার ডারবানে প্রথম টি-২০ ম্যাচ ৬১ রানে জিতল সূর্যকুমার যাদবের দল। টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এই প্রথম মুখোমুখি হয় দুই দেশ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিরিজে ১-০ তে লিড নিল ভারত। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন সঞ্জু স্যামসন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ম্যাচে শতরানের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ম্যাচে আবার সেঞ্চুরি করলেন। ৫০ বলে ১০৭ রান করেন। ঝকঝকে ইনিংসে ছিল ১০টি ছয়, ৭টি চার। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২০২ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ১৭.৫ ওভারে ১৪১ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ১৩ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের সেরা স্বাভাবিকভাবেই সঞ্জু স্যামসন।
দুরন্ত ব্যাটিংয়ে এদিন তিনটে রেকর্ড করেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার। প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-২০ ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক শতরান করলেন সঞ্জু। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ তে ভারতীয় ব্যাটারের দ্রুততম শতরান। এর আগে ৫৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। এদিন সঞ্জু করলেন ৪৭ বলে। পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং ঋষভ পন্থকেও ছাপিয়ে যান। ছুঁয়ে ফেললেন কেএল রাহুল এবং ঈশান কিষাণকে। উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে ভারতের হয়ে টি-২০ তে দুটো অর্ধশতরান বা তার বেশি রান ছিল ধোনি এবং পন্থের। এদিন তৃতীয়বার ৫০ রানের বেশি করলেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার।
এদিন ভারতীয় ইনিংস নিয়ে কিছু বলতে হলে, সঞ্জু ছাড়া বিশেষ কিছু বলার নেই। বাকিরা ব্যর্থ। ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটারকে কিছুটা সঙ্গত দেন সূর্যকুমার যাদব (২১) এবং তিলক বর্মা (৩৩)। ২৭ বলে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন সঞ্জু। পরের ২০ বলে পৌঁছে যান শতরানে। কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি। কয়েকটা দৃষ্টিনন্দন ছক্কা হাঁকান। প্রোটিয়া বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন। সঞ্জু আউট হওয়ার পর রানের গতি কমে ভারতের। পরপর উইকেট হারায়। ম্যাচে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষমেষ নির্ধারিত ওভারের শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান তোলে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ প্রোটিয়া ব্যাটারররা। রায়ান রিকেলটন শুরুটা ভাল করলেও তার ফায়দা তুলতে পারেনি বাকিরা। সর্বোচ্চ রান হেনরিচ ক্লাসেনের। ২৫ রান করে আউট হন। তবে চেনা ছন্দে ছিলেন না। ১৭.৫ ওভারে ১৪১ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনে ঘায়েল প্রোটিয়ারা। দু'জনেই তিনটে করে উইকেট নেন। জোড়া উইকেট আবেশ খানের।
