মৌরির জল হজমতন্ত্রকে সুস্থ এবং সক্রিয় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্যাস, বদহজম ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। মৌরির জল অন্ত্রকে শান্ত রাখে এবং খাবার সহজে হজম করতে সহায়ক।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য মৌরির জল একটি সহজ ও কার্যকর ঘরোয়া উপায়। এটি শরীরের মেটাবলিজম সক্রিয় করে এবং ধীরে ধীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত সেবনে খিদের উপরও নিয়ন্ত্রণ আসে।

মহিলাদের স্বাস্থ্যে উপকারী

মৌরির জল বিশেষ করে মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ঋতুস্রাবের সময় হওয়া ব্যথা, পেটের মোচড় এবং ফোলাভাব কমাতে এটি সাহায্য করে। পাশাপাশি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে, ফলে মুড সুইং ও ক্লান্তি কমে।

শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বার করে

মৌরির জল শরীরকে ডিটক্স করতেও সাহায্য করে। এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বার করে দেয় এবং কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। প্রস্রাবে জ্বালা বা বারবার সংক্রমণের সমস্যাতেও এটি উপকারী।

কীভাবে খাবেন মৌরির জল

চিকিৎসক বন্দনা তিওয়ারির মতে, সকালে খালি পেটে মৌরির জল পান করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। চাইলে রাতে ঘুমনোর আগেও এটি পান করা যেতে পারে। তবে দিনে এক গ্লাসের বেশি না খাওয়াই ভালো।

সতর্কতা জরুরি

অতিরিক্ত পরিমাণে মৌরির জল পান করলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে লো ব্লাড প্রেশার বা অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত মাত্রায় সেবন করা জরুরি। কোনও দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পরিমাণ ও প্রস্তুতির পদ্ধতি

মৌরির জল তৈরি করতে এক চামচ মৌরি এক গ্লাস জলে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জল হালকা গরম করে ছেঁকে নিয়ে উষ্ণ গরম অবস্থায় পান করুন। নিয়মিত সেবনে কয়েক দিনের মধ্যেই এর ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

দৈনন্দিন জীবনে সহজ একটি অভ্যাসই শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা নিতে পারে। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এই পানীয়টি নিয়ম মেনে এবং পরিমিতভাবে গ্রহণ করলে শরীরের সামগ্রিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্যস্ত জীবনে আলাদা করে সময় বা খরচ না বাড়িয়েই সুস্থ থাকার একটি কার্যকর উপায় হয়ে উঠতে পারে এটি। তবে যে কোনও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মতোই, নিজের শরীরের প্রয়োজন বুঝে এবং সচেতনভাবে গ্রহণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।