আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীত পড়ার মুখে, দীপাবলি পরবর্তী সময়ে দেশের নানা জায়গায় চিন্তা বাড়ে বাতাসের হল হকিকত নিয়ে। প্রতিবছর এই সময়টায় ভয়াবহ হয়ে ওঠে দিল্লির বাতাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার আগে থেকেই দিল্লিতে বাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আপ সরকার। তবে তাতেও কি হল শেষ রক্ষা?
পরিসংখ্যান বলছে, ঘণ্টায় ঘণ্টায় খারাপ হচ্ছে দেশের রাজধানীর বাতাসের অবস্থা। ১২ ঘণ্টায় সেখানকার বাতাসে দূষণের মাত্রা ৩২৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০৭। শনিবার সকালে সেখানকার একাধিক জায়গায় একিউআই এর মাত্রা ছিল ৩২৭।
দীপাবলি, দিওয়ালি পার হতেই দিল্লিতে বাতাসের গুণগতমান হু-এর সীমার ৬৫ গুণ বেশি। ৩ নভেম্বর সকালেও দিল্লি ঢাকা পুরু ধোঁয়াশার চাদরে। সকাল সাড়ে ৫টার হিসেব অনুযায়ী, বাতাসে একিউআই ৫০৭। সকাল ৭টাতেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। বাতাসের এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ২১,০০০ মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, প্রত্যেকের পরিবারের অন্তত একজন বাতাসের দূষণের কারণে অসুস্থ।
সমীক্ষা বলছে শুধু দিল্লি কিংবা তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নয়, দিওয়ালি পরবর্তী সময়ে বাতাসের গুণমান খুব খারাপ হিমাচলের কিছু জায়গাতেও। গত বছর যেখানে হিমাচলের গড় একিউআই ছিল ৯২, এবছর তা হয়েছে ১৪০। তবে বেশ কিছু জায়গায় বাতাসের দূষণের পরিমাণ গত বছরের থেকে কম বলেও জানা গিয়েছে।
