আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুদর্শন পাওলো মালদিনির কথা নিশ্চয় মনে আছে ফুটবলভক্তদের! সর্বকালের অন্যতম সেরা লেফট ব্যাক তিনি। 'আজুরি'র রক্ষণ সামলাতেন পাওলো মালদিনি। এবার তাঁর ছেলে দানিয়েল মালিদিনি ইতালির জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন।
দানিয়েলের বাবা পাওলো মালদিনিকে নিয়ে কত গল্প! ছোটবেলায় তাঁর ভালবাসা ছিল জুভেন্তাসের প্রতি। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, বয়স যত বাড়তে থাকে, মালদিনির ভালবাসা ততই বদলাতে থাকে। ধীরে ধীরে এসি মিলানের প্রেমে পড়ে যান পাওলো মালদিনি।
তাঁর বাবা সিজার মালদিনি একদিন ছেলের কাছে জানতে চান, কোন ক্লাবের হয়ে ট্রায়াল দিতে চান তিনি। পাওলো জবাব দিলেন এসি মিলান।
ট্রায়ালের দিনও স্থির হয়ে গেল। পাওলো মালদিনি সকালে তাঁর বুট নিয়ে মাঠে হাজির। তাঁর পজিশন সম্পর্কে জানতে চাইলেন কোচরা। কিন্তু মালদিনির সঠিক কোনও পজিশন ছিল না। তিনি কোচদের বললেন, ''আমার নিজস্ব কোনও পজিশন নেই।'' রাইট উইংয়ের খেলোয়াড়ের অভাব ছিল সেই সময়ে। পাওলো মালিদিনিকে রাইট উইংয়ে খেলানো হল। তাঁর খেলায় মুগ্ধ মিলান তৎক্ষণাৎ সই করিয়ে নিল পাওলো মালদিনিকে। কালক্রমে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন ইতালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেফট ব্যাক।
সেই পাওলো মালদিনি পুত্র দানিয়েল চলতি মাসের উয়েফা নেশনস লিগের দু'টি ম্যাচের জন্য ঘোষিত ইতালি দলে ডাক পেয়েছেন।
বেলজিয়াম ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে দু'টি ম্যাচ রয়েছে ইতালির। দানিয়েল অবশ্য বাবার মতো রক্ষণের খেলোয়াড় নন। তিনি ফরোয়ার্ডের খেলোয়াড়।
পাওলো মালদিনির বাবা বিখ্যাত সিজার মালদিনি। সিজারের নাতি এই দানিয়েল। পাওলো মালদিনি এবং সিজার মালদিনির কথা জানে ফুটবলবিশ্ব। এবার পিতা-পুত্রের সঙ্গে এক বন্ধনীতে থাকবেন দানিয়েলও। ২২ বছর বয়সী দানিয়েল চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসি মিলান থেকে লোনে মোনৎসায় চলে যাওয়ার পর থেকেই দারুণ ছন্দে রয়েছেন। মোনৎসা তাঁকে পাকাপাকিভাবে কিনে নিয়েছে।
পাওলো মালদিনি ইতালির জার্সিতে ১৯৮৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। ১২৬টি ম্যাচ খেলেন তিনি। সিজার মালদিনির কেরিয়ার অবশ্য তাঁর ছেলে পাওলোর মতো দীর্ঘ নয়। নীল জার্সিতে ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন সিজার। ১০ অক্টোবর রোমে বেলজিয়াম ও ১৪ অক্টোবর উদিনেসে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে খেলবে ইতালি।
সবার নজর থাকবে দানিয়েলের দিকে।
