আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়েতে ভাংচি দেওয়া। এটা কোনও নতুন কথা নয়। যুগ যুগ ধরে এই কথাটার সঙ্গে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে এই সমাজের। বিশেষত, বিয়েতে ভাংচি দেওয়া এই শব্দবন্ধ মা-কাকিমাদের সামনে উচ্চারণ করলে, তাঁরা সমস্বরে বলবেন, এটা আর নতুন কী? পাত্র ভালো, বনেদি ঘর, উচ্চশিক্ষিত, ভালো চাকরি করেন। পাত্রীও উচ্চবংশ, সুন্দরী এবং শিক্ষিতা। কিন্তু শেষ অবধি বিয়েটা হল না। কারণ সেই ভাংচি। কোন দুর সম্পর্কের আত্মীয়ও বা পাড়া-প্রতিবেশির কেউ পাত্র কিংবা পাত্রীর বাড়িতে গিয়ে জেনেশুনে এমনকিছু বলে এলেন, যে শেষপর্যন্ত পাকা দেখা হয়ে যাওয়ার পরেও বিয়ে গেল ভেস্তে।
তা এই বিয়েতে ভাংচী দেওয়ার রীতি তো কবে থেকেই চলে আসছে। এতো আগে আকচার হতই। এখনও যে হয় না, তা বলা যায় না। হ্যাঁ, বিয়েতে ভাংচি দেওয়ার রীতি এখনও রয়েছে। কিন্তু এখন যে এই বিয়েতে ভাংচি দেওয়ার রীিতই পেশা। অবাক লাগলেও প্রফেশনাল ওয়েডিং ডেস্ট্রয়্যার অর্থাৎ বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য পেশাদার ব্যক্তি। বর্তমানে এমন পেশাদার লোকের চাহিদাও নাকি তুঙ্গে।
ঠিক কী কী করলে বিয়ে ভেঙে দেওয়া যায়। কীভাবে পরিকল্পনা করলে বিয়ের মণ্ডপ থেকে পাত্রী তুলে আনা যায়। বা পাত্রকে উঠিয়ে আনা যায়। এই সবকিছুই জানতে হবে। বিয়ে ভাঙার সমস্ত কাজ সুসম্পন্ন করতে পারলেই মিলবে মোটা টাকার পারিশ্রমিক। এবার বিয়ে ভাঙতে গিয়ে যদি মারধর খেতে হয়, তবে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দাবি করতে সেই ধরনের অপ্রস্তুত পরিস্থিতির মোকািবলার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রফেশনাল ওয়েডিং ডেস্ট্রয়্যার-এই পেশা কিন্তু বিদেশে বেশ জনপ্রিয়। আসলে রোজগারের উপায় খুঁজতে গিয়ে এই ধরনের পেশা নির্বাচন করেন স্পেনের এক তরুণ। সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন আরনেস্টো রেইনারস ভারিয়া নামে ওই তরুণ। ভারিয়ার বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, ‘বিয়ে করতে চাইছেন না, অথচ কীভাবে না করবেন, সেটাও বুঝতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতি হলে আমি অনুমতি নিয়ে বিয়েতে আপত্তি জানাব’। এই পোস্ট যে এত জনপ্রিয় হবে, তা ভাবতে পারেননি ভারিয়া।
জানা গিয়েছে, এই পোস্ট করার পরেই পাত্র এবং পাত্রী পশ্ক্ষ থেকে অসংখ্য অনুরোধ পেতে থাকেন ওই তরুণ। সব শুনে এবার প্রশ্ন, সত্যিই কি এই ব্যবসা এত জনপ্রিয়? জানা গিয়েছে, এই সুবিধা নিতে রীতিমতো লাইন পড়ে গিয়েছে ভারিয়ার অফিসে। শুধু কি তাই, বিয়ে ভাঙতে অগ্রিম দিয়ে ওই তরুণকে বুক করছেন পাত্র এবং পাত্রী পক্ষ। এই ব্যবসায় উপার্জন শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময় রমরমিয়ে চলছে এই বিয়ে ভাঙার ব্যবসা।
