আজকাল ওয়েবডেস্ক: চাণক্যের থেকেও বড় মাস্টারমাইন্ড। তাঁর চালে প্রচুর টাকা খসল একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির। রবিবার আইপিএলের মেগা নিলামের প্রথমদিন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিক কিরণ কুমার গ্রান্ধী। অতীতে সানরাইজার্সের মালকিন কাব্য মারান, জুহি চাওলার মেয়ে জাহ্নবী মেহতা আইপিএলের নিলামে ভাইরাল হয়েছে। সুন্দরী নারীদের নিয়ে চর্চা নতুন নয়। কিন্তু অতি সাধারণ দেখতে, মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির রাতারাতি ভাইরাল হওয়ার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। রবিবার তাই ঘটল। তাঁকে দেখে ছোটবেলায় কমিক্সে পড়া 'গোপাল ভাঁড়' এর কথা মনে হতেই পারে কারোর, কিন্তু বুদ্ধিতে তিনি 'চাণক্য।' প্রথমে ঋষভ পন্থের দর বাড়িয়ে দেন। তারপর মাত্র ১৪ কোটিতে কেনেন কেএল রাহুলকে। বর্তমানে তিনিই 'টক অফ দ্য টাউন।' কে এই কিরণ গ্রান্ধী?
নিলামে আগ্রাসী বিডিং এবং বুদ্ধিদীপ্ত ট্যাক্টিক্সের জন্য পরিচিত তিনি। অনেকেই তাঁকে চাণক্যের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছে। শুধুমাত্র ঋষভ পন্থ নয়, শ্রেয়স আইয়ারেরও দর বাড়ান দিল্লির শীর্ষকর্তা। কেকেআরের আইপিএল জয়ী অধিনায়কের জন্য প্রীতি জিন্টার সঙ্গে ক্রমাগত দর কষাকষি চালাতে থাকেন। শেষপর্যন্ত নিলামের টেবিলে লড়াই চালিয়ে যান। যার ফলে আকাশছোঁয়া দর ওঠে।
আইপিএল নিলামের মাস্টারমাইন্ডের ক্রিকেটের বাইরে একটা আলাদা জগত আছে। শুধু বাইশ গজেই সীমাবদ্ধ নেই তিনি। কিরণ গ্রান্ধী দিল্লি ক্যাপিটালসের চেয়ারম্যান এবং যৌথ মালিক। কমার্স গ্রাজুয়েট। জিএম রাওয়ের ছোট ছেলে। ১৯৯৯ সাল থেকে জিএমআর গ্রুপের বোর্ডের সদস্য। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস গড়ে তোলার পেছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। জিএমআর গ্রুপের সাফল্যের পেছনেও বড় অবদান রয়েছে তাঁর। দিল্লি, হায়দরাবাদ, ইস্তানবুল, মালে বিমানবন্দরে অনেক প্রজেক্ট পেতে সাহায্য করেন। দিল্লি বিমানবন্দরে টার্মিনাল থ্রির নির্মাণকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। এছাড়াও জিএমআর গ্রুপের সমস্ত স্পোর্টস প্রোজেক্টেরও দেখভাল করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এবার আইপিএলের মঞ্চে প্রথমবার ভাইরাল হলেন 'ক্রিকেটের চাণক্য।'
