আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাতায় কলমে ইস্টবেঙ্গল-পাঞ্জাব ম্যাচের সেরা যেই হোক না কেন, আসল রিংমাস্টার অস্কার ব্রুজো। তাঁর চালেই মঙ্গল রাতে যুবভারতীতে ইতিহাস সৃষ্টি হয়। নিশ্চিত হার থেকে জয়ের সরণিতে ফেরায় ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধে দু'গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে কোন জাদুকাঠিতে বদলে গেল ইস্টবেঙ্গল? ড্রেসিংরুমে প্লেয়ারদের কী পেপ টক দেন অস্কার? ম্যাচের সেরা ডেভিড বলেন, 'কোচ আমাদের সেরকম কিছু বলেনি। শুধু চাপমুক্ত হয়ে খেলতে বলেন। বলেন, আমরা ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলছি। আমাদের ওপর কোনও চাপ নেই। টেনশন ফ্রি হয়ে খেলতে পারলে গোল আসবে। আমরা জানতাম একটা গোল পেলেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরা সহজ নয়। কিন্তু আমরা করতে পেরেছি।' 

কী বলছেন খোদ অস্কার? প্লেয়ারদের কী এমন বলেছিলেন যাতে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার প্রথম মুহূর্ত থেকেই চার্জড আপ হয়ে যায় প্লেয়াররা? অস্কার বলেন, 'আমি প্রথমার্ধের খেলার খুশি ছিলাম না। সব বিভাগে ওরা আমাদের থেকে ভাল খেলছিল। আমি প্লেয়ারদের বলি, এইভাবে খেলা চালিয়ে গেলে আমরা ৫-৬ গোল হজম করব। তাতেই হয়তো ফুটবলাররা চার্জড আপ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে সবকিছু বদলে যায়। খেলায় সমস্যা ছিল না, সমস্যা ছিল নিজেদের প্রতি বিশ্বাস এবং আচরণে। দ্বিতীয়ার্ধে আমি সেটা বদলাতে পেরে খুশি। শেষপর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের সুন্দর কামব্যাক হয়েছে। বিরতির পর প্রথম গোলটা দ্রুত পেয়ে যাওয়ায় আমাদের ম্যাচে ফিরতে সুবিধা হয়। বিষ্ণু পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি আক্রমনাত্মক কোচ। এখানে ড্র করতে আসিনি। আমি ঝুঁকি নিয়ে ম্যাচ জেতার পক্ষপাতি।' 

একাধিক তারকা প্লেয়ার নেই। তরুণদের খেলাতে হচ্ছে। এদিন সেই তরুণ ব্রিগেডের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। এই প্রসঙ্গে অস্কার বলেন, 'ক্লাব গ্রাসরুট ডেভেলপমেন্টে ফোকাস করে। সিনিয়র দলের সঙ্গে তরুণ প্লেয়াররা নিয়মিত প্র্যাকটিস করে। ওরা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছিল।' বিষ্ণুর ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। মেনে নিলেন, তিনি নামার পর ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। একইসঙ্গে ক্লেইটন সিলভার খেলাতেও খুশি। জানান, শুধুমাত্র একজন স্ট্রাইকার না, দ্বিতীয়ার্ধে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ব্রাজিলীয়। শেষ চার ম্যাচের মধ্যে তিনটেতে জয়। টেবিলের অবস্থানে তেমন উন্নতি না হলেও সুপার সিক্সের আশা জাগাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এখনই এই নিয়ে ভাবতে চান না অস্কার। চলতি বছরে আরও দুটো ম্যাচ বাকি আছে। পরের ম্যাচ ঘরের মাঠে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে। বছরের শেষ ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধ। অস্কার জানালেন, সেই ম্যাচের পরই পুরো চিত্র পরিষ্কার হবে। জামশেদপুর ম্যাচে সমর্থকদের স্টেডিয়াম ভরানোর আহ্বান জানান। অন্যদিকে পাঞ্জাবের গ্রিক কোচ ডিলেমপেরিস মেনে নেন ২০ মিনিটের ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। একইসঙ্গে জানান, বিষ্ণু দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।