২০২৫–২৬ আর্থিক বছরের জন্য অগ্রিম করের তৃতীয় কিস্তি পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। অনেক করদাতা সময়মতো এই কিস্তি পরিশোধ করলেও, কেউ কেউ নির্ধারিত সময়সীমা মিস করেছেন।
2
12
আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন, তাহলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে দেরিতে পরিশোধের ফলে কী ধরনের সুদের বোঝা পড়তে পারে, তা জানা জরুরি।
3
12
আয়কর আইনে অগ্রিম করের নির্ধারিত কিস্তি মিস করার জন্য সরাসরি কোনও জরিমানার বিধান নেই। তবে সময়মতো বা প্রয়োজনীয় পরিমাণ কর পরিশোধ না করলে সুদ ধার্য হয়।
4
12
আয়কর বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ধারা ২৩৪সি অনুযায়ী এই সুদ আরোপ করা হয়, যদি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় অগ্রিম কর পরিশোধ না করা হয়।
5
12
১৫ ডিসেম্বরের সময়সীমা মিস করলে, যে অংশের অগ্রিম কর পরিশোধ হয়নি, তার ওপর মাসে ১ শতাংশ হারে সরল সুদ আরোপ করা হয়। এই সুদ তিন মাসের জন্য গণনা করা হয়।
6
12
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট করের ৭৫ শতাংশ অগ্রিম কর পরিশোধ করার কথা। যদি এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হয়, তবে শুধু ঘাটতির অংশের ওপরই সুদ বসবে, পুরো করের ওপর নয়।
7
12
আপনি যদি তৃতীয় কিস্তি মিস করে থাকেন, তাহলে ১৫ মার্চের মধ্যে অবশিষ্ট অগ্রিম কর একসঙ্গে পরিশোধ করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে মূল খরচটি সীমাবদ্ধ থাকবে ডিসেম্বরের কিস্তি দেরিতে দেওয়ার জন্য ধার্য হওয়া সুদের মধ্যেই।
8
12
মার্চের মধ্যে মোট অগ্রিম করের প্রয়োজনীয় পরিমাণ পরিশোধ হয়ে গেলে, ডিসেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা মিস করার জন্য অতিরিক্ত কোনও সুদ আরোপ করা হয় না।
9
12
অগ্রিম করের সুদ মূলত দুইটি ধারায় হিসাব করা হয়। প্রথমত, ধারা ২৩৪সি, যেখানে জুন, সেপ্টেম্বর, ডিসেম্বর ও মার্চ—এই চারটি কিস্তির প্রতিটির জন্য আলাদাভাবে হিসাব করা হয়। নির্ধারিত তারিখে যতটা কর দেওয়া উচিত ছিল, তার তুলনায় ঘাটতি থাকলে সেই অংশের ওপর মাসে ১ শতাংশ হারে সরল সুদ বসে।
10
12
দ্বিতীয়ত, ধারা ২৩৪বি, যা আর্থিক বছর শেষে প্রযোজ্য হয়। যদি কোনো করদাতা মোট করের ৯০ শতাংশের কম কর পরিশোধ করে থাকেন, তাহলে অবশিষ্ট টাকার ওপর এপ্রিল ১ থেকে সম্পূর্ণ কর পরিশোধ হওয়া পর্যন্ত মাসে ১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়।
11
12
যারা ডিসেম্বরের অগ্রিম করের সময়সীমা মিস করেছেন, তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হল ১৫ মার্চের আগেই বাকি অগ্রিম কর পরিশোধ করে ফেলা। এতে সুদের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকবে।
12
12
যদিও সরাসরি কোনও জরিমানা নেই, তবু সুদের অঙ্ক ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তাই অগ্রিম করের তারিখগুলো মনে রেখে সময়মতো পরিশোধ করাই ভবিষ্যতে অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।