আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের আসরে পৌঁছে লক্ষ লক্ষ টাকা পণের দাবি। পাত্রপক্ষের আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ পাত্রী। অপমানে শেষমেশ চরম পদক্ষেপ করলেন। বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছে সোজা বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। বিয়ের আসরে পৌঁছেও সাত পাকে বাঁধা পড়েননি পাত্রী। জানা গেছে, বিয়ের আসরেই পাত্র পক্ষ পণ হিসেবে নগদ ২০ লক্ষ টাকা এবং দামি গাড়ি দাবি করেন। যা শুনেই রাগের মাথায় বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করেন ওই পাত্রী। বিরাট পদক্ষেপ করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন ওই পাত্রী। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, বিয়ের দিন নিমন্ত্রিতরাও আসরে উপস্থিত ছিলেন। ধুমধাম বিয়ের আয়োজন। খাওয়াদাওয়া, নাচগানে মেতেছিলেন সকলে। আচমকাই শোরগোল শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিয়ের আসরে পৌঁছে আরও পণের দাবি করেন পাত্র ও তাঁর পরিবার। নগদ ২০ লক্ষ টাকা এবং দামি গাড়ি পণ হিসেবে চাইতে শুরু করেন। এই আবহে চরম অপমানিত বোধ করেন পাত্রী। মুহূর্তের মধ্যে বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করেন।
ওই পাত্রী বিয়ে ভাঙার পর জানিয়েছেন, অর্থলোভী কোনও পাত্রের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে নারাজ তিনি। পরিবারকে যে পাত্র সম্মান দিতে পারেন না, তাঁর সঙ্গে আজীবন কাটানোর বিপক্ষে তিনি। পাত্রীর পরিবার জানিয়েছেন, পাত্র ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অত্যন্ত দামি উপহার দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিয়ের আসরে পৌঁছে আরও ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ঘটনাটি ঘিরে পুলিশের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
চলতি সপ্তাহে এই রাজ্যে আরেকটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল। বিয়ের জন্য কয়েক মাসের প্রস্তুতি। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ধুমধাম বিয়ে। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পরেই নতুন সংসারে ফাটল। শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পরেই বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করলেন নববধূ। যে ঘটনাটি ঘিরে শোরগোল গোটা এলাকায়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সালমেপুরের পূজা ও ভালুয়ানির বিশাল মাধেসিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিশালের বাবার ছোট্ট মুদি দোকান রয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় বরযাত্রীদের শোভাযাত্রা পৌঁছয় বিয়ের আসরে। সেদিনই সমস্ত আচার, রীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এরপরই শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন পূজা। বরযাত্রীদের সঙ্গেই নতুন বাড়িতে পৌঁছন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই বরের ঘরে প্রবেশ করেন। ২০ মিনিট পর সেই ঘর থেকে বেরিয়েই বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করেন পূজা। বিশালের সকল আত্মীয়স্বজন, পরিবারের সামনেই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন পূজা মজার ছলে এই ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কেন রাতারাতি এই বড় পদক্ষেপ করলেন, তা সকলেই জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু পূজা মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন।
বিয়ের দিই নিজের বাড়িতে ফিরে যাবেন বলে জানান পূজা। কিন্তু বিয়ে ভাঙার কারণ কাউকে জানাননি। সকলেই তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বারবার তিনি বলতে থাকেন, 'আমার পরিবারকে এখানে ডাকুন। আমি বাড়ি যাব।' এরপর তাঁর পরিবারকে বিশালের পরিবার ডেকে পাঠায়। পঞ্চায়েতে বৈঠক বসে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা করে দুই পরিবার।
দীর্ঘ আলোচনার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দুই পরিবার বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যায়। তবে কী কারণে পূজা এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা অজানাই থেকে গেছে সকলের কাছে। বিশাল জানিয়েছেন, দেখাশোনার পর্ব থেকেই পূজা নর্মাল আচরণ করছিলেন। তাঁর আচরণে কখনও সন্দেহ হয়নি। নতুন বাড়িতে পা রেখেই কেন বিয়ে ভাঙলেন, তা ঘিরে ধোঁয়াশায় তিনিও।
