আজকাল ওয়েবডেস্ক: এ যেন গোদের উপর বিষফোড়া! চন্দ্রপুর জেলার কৃষক রোশন সদাশিব কুদে চাষের কাজ করে ক্রমাগত লোকসান করছিলেন। ঘুরে দাঁড়াতে দুধের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য কয়েকজন মহাজনের কাছ থেকে রোশন সদাশিব কুদে মোট এক লাখ টাকা ঋণ নেন। কিন্তু তাতেই বিপদ আরও বাড়ে।

দুধ ব্যবসা শুরু হওয়ার আগেই রোশন যে গরুগুলো কিনেছিলেন, সেগুলো মারা যায়। ফলে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয় ব্যবসা। রোশনের ঋণের ফাঁদ আরও কঠিন হতে শুরু করে। এক লাখ টাকার ঋণ এবং প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা সুদ দিতে গিয়ে ঋণের বোঝা ৭৪ লাখ টাকায় পৌঁছায়। মহাজনরা রোশন ও তাঁর পরিবারকে হয়রানি করতে শুরু করেন। 

এরপর ওই কৃষক রোশন ঋণ শোধ করার জন্য তাঁর জমি, ট্রাক্টর এবং মূল্যবান গৃহস্থালীর জিনিসপত্র বিক্রি করে দেন, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। ঋণ বাকি থাকায় একজন মহাজন রোশন সদাশিব কুদেকে কিডনি বিক্রি করার পরামর্শ দেন। তারপরই একজন এজেন্টের মাধ্যমে ঋণগ্রস্ত কৃষক রোশন কলকাতায় যান। শারীরিক পরীক্ষার পর তিনি কম্বোডিয়া যান। বিদেশে আট লক্ষ টাকায় কিডনি বিক্রি করেন।

রোশন কুদের অভিযোগ, অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে তাঁর মানসিক ও শারীরিক কষ্ট আরও বেড়ে যায়। তিনি এখন বলেছেন যে, যদি তিনি ন্যায়বিচার না পান, তবে তিনি এবং তাঁর পরিবার মুম্বইতে রাজ্য সরকারের সদর দপ্তরের সামনে আত্মাহত্যা করবেন।

মহাজনদের নাম কিশোর বাওয়ানকুলে, মনীশ কালবান্দে, লক্ষ্মণ উরকুদে, প্রদীপ বাওয়ানকুলে, সঞ্জয় বল্লারপুরে এবং লক্ষ্মণ বোরকার বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এঁরা সকলেই ব্রহ্মপুরী শহরের বাসিন্দা।