আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপে ছিল শুক্রবার নিয়মরক্ষার ম্যাচ। ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচই চলে গেল সুপার ওভারে। চরম উত্তেজনার ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল। শেষ অবধি জিতল ভারতই। এখনও অবধি এশিয়া কাপে অপ্রতিরোধ্য সূর্য বাহিনী।
ম্যাচের পর সূর্যকুমার যাদব জানালেন, দলকে তিনি সেমিফাইনালের কথা ভেবে এই ম্যাচ খেলতে বলেছিলেন। কিন্তু তাঁর মনে হচ্ছে ফাইনাল খেলে উঠলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে সঞ্চালকের প্রশ্নে হাসতে হাসতে শুরুতেই সূর্য বলেন, ‘মনে হচ্ছে ফাইনাল খেলে উঠলাম।’ এর পরে জুড়ে দেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথমার্ধে গোটা দলের প্রত্যেকে থেকে যে মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে তা ভাল লেগেছে। ওদেরকে বলেই দিয়েছিলাম, সেমিফাইনাল ভেবে এই ম্যাচটা খেলতে নামো। সকলে মিলে একসঙ্গে চেষ্টা করো। তার পর দেখা যাবে কী হয়। অবশেষে জিততে পেরে খুবই ভাল লাগছে।’
সুপার ওভারেে অর্শদীপ সিংয়ের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন সূর্য। হতাশ করেননি পাঞ্জাবের বোলার। পাঁচ বলে মাত্র দু’রান দিয়েছেন। দু’টি উইকেটও তুলে নিয়েছেন। সতীর্থকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন ভারতের অধিনায়ক। সূর্যকুমার বলেছেন, ‘এর আগে বহুবার অর্শদীপ এই পরিস্থিতিতে খেলেছে এবং দলকে জিতিয়েছে। আমি ওকে বলেছিলাম নিজের পরিকল্পনায় ভরসা রাখো। অন্য কোনও ব্যাপারে চিন্তা কোরো না। আমরা ফাইনালে উঠে গিয়েছি। কিন্তু তোমার কাছে যা পরিকল্পনা আছে সেটা সফল ভাবে কাজে লাগাও। এর আগেও ওকে দেখেছি পরিকল্পনা দুর্দান্ত ভাবে কাজে লাগিয়ে ভারতের হয়ে এবং আইপিএল দলের হয়ে ভাল খেলতে। শুক্রবারও সেটাই করল। ওর আত্মবিশ্বাসই বলে দিচ্ছে কতটা ভাল খেলেছে। শেষ ওভারে ওর হাতে বল তুলে দেওয়ার ব্যাপারে একটুও ভাবতে হয়নি।’
শ্রীলঙ্কা আগেই ছিটকে গিয়েছিল। তবু ভারতের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাটিং নজর কেড়ে নিয়েছে। টান টান ম্যাচ জেতার পরে এই লড়াই থেকে অনেক কিছু ইতিবাচক খুঁজে পেয়েছে ভারত। সূর্যকুমার বললেন, ‘শুরুটা খুব ভাল হয়েছিল আমাদের। তার পর যে ভাবে সঞ্জু এবং অভিষেক ব্যাট করেছে, রানের গতি যে ভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে তা প্রশংসনীয়। সঞ্জু এখন ওপেন করে না। মিডল অর্ডারে খেলতে নামে। নিজে থেকেই দায়িত্ব নিয়ে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। তিলকের মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাস এবং দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা দেখতে পাচ্ছি।’
সূর্যকুমার জানিয়ে দিয়েছেন, ফাইনালের আগে হয়তো তারা অনুশীলন করবেন না। একটা গোটা দিন বিশ্রাম নিয়ে তরতাজা হয়ে রবিবার খেলতে নামবেন। ভারতের অধিনায়ক বলেন, ‘এখন থেকেই ফাইনাল নিয়ে কিছু ভাবছি না। দলের কয়েক জনের পেশিতে আজ টান লেগেছে। কালকের দিনটা বিশ্রাম নিয়েই কাটাতে চাই। শুক্রবার যে ভাবে নেমেছিলাম সে রকমই তরতাজা হয়ে ফাইনালে নামব।’
ফাইনালে আগে দলকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার বার্তা দিয়েছেন সূর্য। বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম দলের প্রত্যেকে নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগাক। স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে খেলতে নামুক। কোনও রকম ভয় ছাড়াই। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আশা করি প্রত্যেকে যেটা চেয়েছিল সেটাই পেয়েছে। ফাইনালে উঠতে পেরে ভাল লাগছে।’
