আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমির বাইরে ভিড়। হঠাৎ ভেসে এল, 'বাবর, বাবর, কিং বাবর, আমাদের রাজা বাবর' ধ্বনি। অটোগ্রাফ এবং সেলফির আবদারে পাত্তা না দিয়ে সোজা ভেতরে ঢুকে যান পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে পৌঁছেছে রিজওয়ানরা। শুক্রবার ছিল প্রথম প্র্যাকটিস। দুবাইয়ে প্রচুর পাকিস্তানের সমর্থক রয়েছে। বাবরদের এক ঝলক পেতে যারা জমায়েত হয়েছিল স্টেডিয়ামের বাইরে। কিন্তু পাত্তা না পেয়ে হতাশ হন সমর্থকরা। তারমধ্যে কারোর চোখে জলও ছিল। যদিও রবিবার পাকিস্তান জিতলে সেই হতাশা বদলে যাবে উচ্ছ্বাসে।
ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে দুবাইয়ের পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার খুব কম সময় পাবে পাকিস্তান। ঘরের মাঠের পিচ এবং পরিবেশের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন দুবাইয়ের পরিস্থিতি। মহারণের আগে শুক্রবার এবং শনিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি সারবে পাকিস্তান দল। শুক্রবার ওয়ার্ম আপ ড্রিল শেষ করে নেটে নামার প্রস্তুতি নিতে ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করার মুখে সাক্ষাৎ এক পরিচিত মুখের সঙ্গে। তিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মুদাসার নজর। বাবরদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি শুধুই একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার নয়, নজর দুবাইয়ের পরিবেশ এবং পরিস্থিতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। আইসিসি অ্যাকাডেমিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অন্তর্বর্তী কোচও ছিলেন। সুতরাং, দুবাইয়ের পিচ এবং পরিবেশ জানার জন্য তিনিই আদর্শ ব্যক্তি।
৬৮ বছরের নজর পাকিস্তানের কোচও ছিলেন। একসময় পিসিবির পদেও ছিলেন। তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন প্লেয়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। মূলত ব্যাটারদের সঙ্গে কথা বলেন নজর। তারপর বোলারদেরও পেপ টক দেন। তাঁর উপদেশ কাজে লাগিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে পারবে কিনা পাকিস্তান, সেটা সময় বলবে। তবে আত্মবিশ্বাসী রিজওয়ানরা। দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সাফল্য রয়েছে পাকিস্তানের। সেই পরিসংখ্যানই ভরসা বাবরদের। এটাই তাঁদের বাড়তি মনোবল জোগাবে।
