অমিতাভ বচ্চন বৃহস্পতিবার নিজেই জানালেন তাঁর নাতি অগস্ত্য নন্দার আসন্ন ছবি ‘ইক্কিস’এর মুক্তির তারিখ বদলের কথা। অগস্ত্যের বড় পর্দায় বলিউড অভিষেক হতে চলেছে এই ছবির হাত ধরেই। আগে ছবিটি ২৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও, এখন তা পিছিয়ে নির্ধারিত হয়েছে ২০২৬-এর ১ জানুয়ারি।
অগস্ত্যের দাদু অমিতাভ বচ্চন এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে এক্সে (পূর্বে টুইটার) এই খবর জানান। উল্লেখযোগ্যভাবে, মুক্তির তারিখ পরিবর্তনের কারণ হিসাবে তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন, যা ইন্ডাস্ট্রির নানা জল্পনার মধ্যেই আলাদা করে নজর কেড়েছে।
অমিতাভ লেখেন, ‘ইক্কিস আগে ২৫ তারিখে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, এখন মুক্তি পাবে ২০২৬-এর ১ তারিখে। কিছু জ্যোতিষবিদ বললেন, এই দিনটা শুভ। চলো এগোই, শুধু এগিয়ে চলি।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ছবির মুক্তিকে ঘিরে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, বড়দিনের সপ্তাহান্তে বক্স অফিসের তীব্র প্রতিযোগিতা এড়াতেই ছবির মুক্তি পিছোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে কার্তিক আরিয়ান ও অনন্যা পাণ্ডের রোম্যান্টিক কমেডি ‘তু মেরি ম্যায় তেরা ম্যায় তেরা তু মেরি’, অন্য দিকে রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’ এখনও প্রেক্ষাগৃহে দাপটের সঙ্গে চলছে।
অগস্ত্যর কেরিয়ারে ‘ইক্কিস’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছবি। জোয়া আখতারের নেটফ্লিক্স প্রজেক্ট ‘দ্য আর্চিজ’এর মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশের পর এটিই তাঁর প্রথম থিয়েটার রিলিজ। ‘দ্য আর্চিজ’ যদিও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল এবং অগস্ত্যের অভিনয় নিয়েও সমালোচনা হয়েছিল। তবু ‘ইক্কিস ’কে তাঁর বড় পর্দায় নিজের জায়গা পাকা করার বড় সুযোগ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
ছবিটি ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের বীর সেনা সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অরুণ খেত্রপালের অনুপ্রেরণামূলক জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি। তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ পরমবীর চক্র প্রাপক। সাহস, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে যায় ‘ইক্কিস’এর গল্প।
অগস্ত্য ছাড়াও ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন জয়দীপ আহলাওয়াত। এছাড়া অভিনেতা অক্ষয় কুমারের ভাইঝি সিমর ভাটিয়া এই ছবির মাধ্যমেই অভিনয়ে অভিষেক করছেন। প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকেও ছবিতে দেখা যাবে।
মুক্তির তারিখ বদলালেও ‘ইক্কিস’ ঘিরে প্রত্যাশার পারদ এতটুকু কমেনি। ২০২৬ সালের শুরুতেই ছবিটি দর্শকদের নজর কেড়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। নতুন বছরে দেশপ্রেম আর সাহসের এই কাহিনি কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে সিনেমাপ্রেমীরা।
