আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান মহারণের আগে শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে আসবে। সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী। শুরুতে সুইং, পরে স্পিন। তাতেই কুপোকাত পাকিস্তান। ওমানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করলেও, ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের রান ১২৭। একা লড়লেন সাহিবজাদা ফারহান। ৪৪ বলে ৪০ রান করে আউট হন। বাকিরা এলেন এবং গেলেন। তিন উইকেট কুলদীপ যাদবের। জোড়া উইকেট অক্ষর প্যাটেল এবং যশপ্রীত বুমরার। দুবাইয়ের পিচ থেকে সুবিধা পায় স্পিনাররা। নিজেদের মধ্যে ছয় উইকেট ভাগ করে নেয় ভারতের ত্রয়ী।
হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং যশপ্রীত বুমরার জুটিতে লুটি। প্রথম দুটো উইকেট এই কম্বিনেশনে। ইনিংসের প্রথম বল লেগ সাইডে ওয়াইড। দ্বিতীয় বলেই উইকেট। টেকনিক্যালি নতুন বলে প্রথম বলেই বাজিমাত হার্দিকের। পয়েন্টে বুমরার হাতে ধরা পড়েন সাইম আইয়ুব। শেষ তিন ইনিংসে শূন্যের হ্যাটট্রিক পাকিস্তানের ওপেনারের। এদিন রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম উইকেট হারায় সলমন আঘারা। দ্বিতীয় ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। বুমরার প্রথম ওভারেই হাত খুলে মারার চেষ্টা করেন মহম্মদ হ্যারিস। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ারে হার্দিকের হাতে ধরা পড়েন। ৬ রানে জোড়া উইকেট হারায় পাকিস্তান। একই ওভারে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিতে পারতেন বুমরা। ফকর জামানের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হলেও, ডিআরএসে সেই যাত্রায় বেঁচে যান। বল লেগ সাইডের বাইরে ছিল। শুরুতেই জোড়া উইকেট হারালেও, তৃতীয় উইকেটে হাল ধরার চেষ্টা করেন সাহিবজাদা ফারহান এবং ফকর জামান।
একমাত্র ওপেনার ফারহান ছাড়া টপ অর্ডার সুবিধা করতে পারেনি। বুমরাকে দুটো ছক্কা হাঁকান। পাওয়ার প্লের শেষে ২ উইকেটের বিনিময়ে পাকিস্তানের রান ছিল ৪২। ছয় ওভারের মধ্যে তিন ওভার করেন বুমরা। যা সচরাচর দেখা যায় না। পঞ্চম ওভারে স্পিনার আনেন সূর্যকুমার। কিন্তু প্রথম ওভারে আহামরি কিছু করতে পারেননি বরুণ চক্রবর্তী। পাওয়ার প্লের শেষে বাকি দুই স্পিনারকে বল দেন সূর্যকুমার। জোড়া উইকেট তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। ফেরান ফকর জামান (১৭) এবং সলমন আঘাকে (৩)। ১৩তম ওভারে কুলদীপ যাদবের জাদু। একই ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন। ফেরান হাসান নওয়াজ (৫) এবং মহম্মদ নওয়াজকে (০)। তৃতীয় উইকেট হারানোর পর পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। পাক অধিনায়ক ডাহা ব্যর্থ। পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজি অবাক করার মতো। গুণগত মানের দিক থেকে ভারতীয় বোলারদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পাক ব্যাটাররা। তাসত্ত্বেও কীভাবে প্রত্যেক বলে আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা করে, বোধগম্য নয়। পার্টনারশিপ গড়ার কোনওরকম চেষ্টাই করেনি পাক ব্যাটাররা। স্ট্রাইক রোটেট করার চেষ্টাও ছিল না। অদ্ভুত ট্যাকটিক্স। একেবারেই পরিকল্পনা মাফিক ক্রিকেট নয়। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন শাহিন আফ্রিদি। হার্দিকের শেষ ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকান। মোট চার ছয়। ১৬ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত শাহিন। পাকিস্তানের বোলারের ব্যাটে ভর করে অন্তত কিছুটা লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল পাকিস্তান।
