আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার রাতে শারজায় পাকিস্তানের কাছে হেরে টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার মুখে ভারতের মেয়েরা। সেমিফাইনালের ভাগ্য নির্ভর করছে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচের ওপর। পাকিস্তান জিতলে তবেই রানরেটের ভিত্তিতে শেষ চারে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকবে হরমনপ্রীতদের। তবে আশা খুবই কম। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪২ রানে থামে ভারতের ইনিংস। শেষপর্যন্ত লড়াই করেন হরমনপ্রীত কৌর। ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে তারপরও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শেষ ওভারে হরমনপ্রীতের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শেষ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। স্ট্রাইকে ছিলেন হরমনপ্রীত। ততক্ষণে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক। আশা করা গিয়েছিল, শেষ ওভারে স্ট্রাইক ধরে রেখে দলকে জয় এনে দেবেন হরমন। কিন্তু প্রথম বলেই রান নেন। স্ট্রাইক পান পূজা ভস্ত্রকার। পরপর ৪ উইকেট হারায় ভারত। চতুর্থ বলে স্ট্রাইক ফিরে পান ভারত অধিনায়ক। আবার এক রান নিয়ে শ্রেয়াঙ্কাকে স্ট্রাইক দেন। ২ বলে ১২ রান দরকার ছিল। কিন্তু ওয়াইড বলে রান আউট হন শ্রেয়াঙ্কা। পরের বলেই আউট রাধা যাদব।
নিজে শেষ ওভার না খেলে, বাকিদের স্ট্রাইক দেওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় চলছে। ক্রিজে সেট ব্যাটার তিনিই ছিলেন। তারওপর ৫০ রান সম্পূর্ণ করে ফেলেছিলেন। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এরকম পরিস্থিতিতে উতরে দিতে একমাত্র তিনিই পারতেন। কিন্তু চাপের মুখে জুনিয়রদের ঠেলে দেওয়া ভালভাবে নেয়নি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কেন হরমনপ্রীত নিজে স্ট্রাইক রাখেননি, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ৩ বলে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল। এই অবস্থায় এক রান নেন ভারত অধিনায়ক। স্ট্রাইক দেন শ্রেয়াঙ্কাকে। যে সবে ক্রিজে এসেছে। একটাও বল খেলেনি। এমন অবস্থায় কি ভারতীয় অলরাউন্ডারের পক্ষে সরাসরি দুটো ছয় মারা সম্ভব? এটা ঠিক যে তাঁর এই ইনিংস ছাড়া লক্ষের ধারেকাছে পৌঁছতে পারত না ভারত। তবে তীরে গিয়ে তরি ডোবার দায় হরমনপ্রীতকেও নিতে হবে।
