আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাল বলের ক্রিকেটে গৌতম গম্ভীর যুগ আদতে শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অনুপস্থিতিতে বিদেশের মাটিতে ২-২ ড্র বড় রেজাল্ট। বিশেষ করে এমন একটা সময় যখন ক্রিকেট পণ্ডিতরা তরুণ ব্রিগেডের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু ওভালে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। সিরিজ শুরুর আগে অনেকেই শুভমন গিলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বর্ডার-গাভাসকর সিরিজে ব্যর্থতার পর আতশ কাঁচের নীচে রাখা হয় গম্ভীরকেও। সিরিজ ড্রয়ের পর সমালোচকদের একহাত নেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। দাবি করেন, তাঁর দল কোনও নির্দিষ্ট প্লেয়ারের ওপর নির্ভর করে না। তারকা পুজোয় বিশ্বাস করেন না গম্ভীর। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা থাকাকালীন দলের দর্শনে পরিবর্তন আনতে পারেননি। কিন্তু দুই মহাতারকার অবসরের পর দলের মনোভাবে বদল আনেন গৌতি। আগামী দিনে কী হতে চলেছে তার একটা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে।

একটি ভিডিও পোস্ট করেছে বিসিসিআই। সেখানে নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। গম্ভীর বলেন, 'আমাদের দল কোনও নির্দিষ্ট প্লেয়ারের ওপর নির্ভর করবে না। এটাই আমাদের টেস্ট দলের দর্শন হবে। সবটাই টিমগেম। ছেলেরা যেভাবে লড়াই করেছে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, আমাদের যা প্রাপ্য সেটা পাওয়া উচিত। আমরা কী চাই সেটা না। আমার মনে হয়, ছেলেদের এটা প্রাপ্য।' গৌতম গম্ভীরের ক্রিকেট দর্শন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তোলেন। ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিশেষ কোচিং অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর ছিলেন। তারপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর হিসেবে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে চ্যাম্পিয়ন করেন। টিম ইন্ডিয়ার কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর, লাল বলের ক্রিকেটেও আইপিএলের দর্শন ফেরান। দলে অলরাউন্ডারের সংখ্যা বাড়ান। নিজের কয়েকজন পছন্দের প্লেয়ারকে আইপিএলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সুযোগ দেন।

সাদা বলের ক্রিকেটে শুরুতে সাফল্য উপভোগ করলেও, টেস্টে শুরুটা জঘন্য হয় গম্ভীরের। তাঁর কোচিংয়ে প্রথম সিরিজে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ এ হোয়াইটওয়াশ হয় ভারতীয় দল। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকর সিরিজে ১-৩ এ হার। ইংল্যান্ড সফর ছিল গম্ভীরের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার অবসরের পর তরুণ শুভমন গিলের ওপর নেতৃত্বের দায়িত্ব বর্তায়। হেডিংলিতে ৫ উইকেটে হার দিয়ে সিরিজ শুরু হয়। এজবাস্টনে অনবদ্য প্রত্যাবর্তন। ৩৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। লর্ডসে ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় গিলরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত ২২ রানে হারে। ম্যাঞ্চেস্টারে কোনওক্রমে হারের মুখ থেকে ফেরে টিম ইন্ডিয়া। দুরন্ত ড্র সিরিজের টার্নিং পয়েন্ট। দ্বিগুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ওভালে নামে গিল অ্যান্ড কোম্পানি। নাটকীয় শেষ টেস্টে স্মরণীয় জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারতীয় দল।