আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিজয় হাজারে ট্রফির আগে কেরলের শিবিরে যোগ না দেওয়ার খেসারত দিতে হতে পারে সঞ্জু স্যামসনকে। রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সঞ্জুর বিজয় হাজারেতে না খেলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাঁকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার গুরুত্ব বোঝাতে চাইছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেটারদের রঞ্জি সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতা খেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সঞ্জুর বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় খুশি নয় বোর্ড কর্তারা। এর কোপ তাঁর ওপর পড়তে পারে।
বিজয় হাজারে ট্রফির আগে একটি প্রস্তুতি শিবির রাখা হয়েছিল। সেখানে অংশ নেননি সঞ্জু স্যামসন। যার ফলে তাঁকে বিজয় হাজারের দলেও রাখেনি কেরল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। কেসিএর সচিব বিনোদ এস কুমার জানান, স্যামসনের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। এই পরিস্থিতিতে সংস্থা একজন তরুণ ক্রিকেটারের জায়গা কেড়ে নিতে চায়নি। বোর্ডের সূত্র জানান, ১৯ জানুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগে এই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, 'বোর্ড এবং নির্বাচকরা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার উপকারিতার কথা জানিয়েছে। অনুমতি ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার জন্য গতবছর বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাতিল করা হয় শ্রেয়স আইয়ার এবং ঈশান কিষণকে। স্যামসনের ক্ষেত্রেও কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি। শুধু জানা গিয়েছে, ও বেশি সময় দুবাইয়ে কাটাচ্ছে।'
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে রাখা হয়েছে সঞ্জুকে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ৫০ ওভারের। বিজয় হাজারেও তাই। সেই জন্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলার কারণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচকরা যথাযত কারণ জানতে চাইছে। নয়তো একদিনের দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন হবে। স্যামসনের সঙ্গে কেরলের ক্রিকেট সংস্থার সম্পর্ক ভাল নয়। কিন্তু এই কারণে ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার সিদ্ধান্ত মানতে চাইছে না বোর্ড। বিজয় হাজারের আগে সৈয়দ মুস্তাক আলিতে খেলেছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ঋষভ পন্থ, কেএল রাহুল, ধ্রুব জুরেলের সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন সঞ্জু। একদিনের ক্রিকেটে উইকেটের পেছনে নাও দেখা যেতে পারে রাহুলকে। কারণ গত দু'বছরে একাধিকবার হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগেছেন। কিন্তু রাহুল উইকেটকিপিং না করতে চাইলে, নির্বাচকরা দলের ভারসাম্য কীভাবে রাখবে সেটাই দেখার।
